পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
শুক্রবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি, পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ি ও শিলিগুড়ি থানার পুলিস এবং সাইবার ক্রাইম টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে এই চক্রকে ধরে ফেলে। দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অ্যান্টিভাইরাস ও সফটওয়্যার বিক্রি প্রতারণার সঙ্গে ভুয়ো কল সেন্টারও চলছিল বলে পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। তবে পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিস নকল অ্যান্টভাইরাস ও সফটওয়ার বিক্রির অভিযোগে প্রতারণার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
ধৃতদের নাম মহম্মদ আরশাদ, মহম্মদ অমন রাজা, মহম্মদ ওমর, ফিরোজ খান, আব্দুল তৌহিত, রোহিত গুপ্তা, রাজেশ সাউ, সৌম্য বিকাশ কুণ্ডু, মেহতা আহমেদ আনসারি এবং অভিজিৎ দাস। ধৃতরা সকলে কলকাতার বাসিন্দা। এই চক্রের প্রধান পান্ডা দু›জন। তাদের মধ্যে মহম্মদ আরশাদ ধরা পড়লেও অমিত শর্মা নামে আর এক পান্ডাকে ধরা যায়নি।
ক্ষুদিরামপল্লীর শিশির ভাদুড়ী সরণিতে একটি ভবনের তৃতীয়তলে ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা চলছিল। ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে ভিনরাজ্যের পাশাপাশি বিদেশেও একটি নামি কোম্পানির অ্যান্টিভাইরাস এবং সফটওয়্যার দেওয়ার নাম করে মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছিল। শিলিগুড়ির পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রতারণা চক্র সক্রিয়।
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার গভীর রাতে এসওজি, পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ি, শিলিগুড়ি থানা পুলিস ও সাইবার ক্রাইম টিম যৌথভাবে অভিযান চালায়। সে সময় ওই অফিসে থাকা দশজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি ল্যাপটপ, কয়েকটি মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন নথি উদ্ধার করা হয়।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অন্য জায়গাতেও এমনই কল সেন্টার চলছে তাদের। শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়।ধৃতদের পাঁচজনে জেল হেফাজত ও পাঁচজনে পুলিস হেফাজত হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। এই প্রতারণা চক্রের মাস্টারমাইন্ডের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস। - নিজস্ব চিত্র।