পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
সারাবছর ভিনরাজ্যে কাজ করলেও ধান কাটার মরশুমে মানিকচকের বেলাল শেখ, শেখ ইব্রাহিমদের মতো বহু মানুষ চলে আসেন উত্তর দিনাজপুর জেলায়। কৃষকের বাড়িতে থেকে নিজেরাই রান্না করে খেয়ে দিনভর ধান কাটেন তাঁরা। বেলালরা জানালেন, একবিঘা জমির ধান কাটতে তাঁরা ছয় মন ধান নেন পারিশ্রমিক হিসেবে। দলবল নিয়ে তাঁরা এই কাজ শেষে শুক্রবার ধান নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে বাড়ি ফিরছেন। ইব্রাহিমের কথায়, আমাদের দলে ১৩ জন আছে। এরকম আরও একাধিক দল মালদহ থেকে ধান কাটতে চোপড়া এসেছে। ইব্রাহিমরা দল বেঁধে দেড় মাসে প্রায় ৬০ বিঘা জমির ধান কেটেছেন।
এদিন বস্তাভর্তি ধান নিয়ে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনমাইল বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন বেলালরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকে প্রায় দশ কুইন্টাল ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এই ধানেই তাঁদের সংসার চলবে কয়েকমাস। নিজামউদ্দিন শেখ বললেন, বাড়ি ফিরে একমাস বিশ্রাম নিয়ে আবারও ছুটতে হবে ভিনরাজ্যে। বছরের বাকি সময়ে কাজ চাই তো! তাই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে চলে যাবেন তাঁরা। নিজামউদ্দিন ও বেলালরা বলছেন, আমাদেরও একসময় আবাদি জমি ছিল। গঙ্গা ভাঙনে সব তলিয়ে গিয়েছে। এখন আমরা পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু ধান কাটার মরশুমে চোপড়ায় চলে আসি। মালদহের এই শ্রমিকদের দিয়ে ধান কেটে চোপড়ার কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। তিনমাইলের বাসিন্দা মধুসূদন সরকার বলেন, এলাকায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া খুবই মুশকিল। মালদহ থেকে অনেকে এসে ধান কেটে ঝাড়াই করে গৃহস্থের গোলায় তুলে দেন তাঁরা। বিঘাপ্রতি এই কাজে বিনিময়ে পাঁচ থেকে ছয় মন ধান নেন তাঁরা। ধান কাটার বিনিময়ে পাওয়া ধান নিয়ে বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় মালদহের শ্রমিকরা।-নিজস্ব চিত্র