সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: ‘বাংলার বাড়ি’ তালিকা থেকে নাম বাদ দুঃস্থ চা শ্রমিকদের। নকশালবাড়িতে কয়েকদিন ধরে এই ইস্যুতে আন্দোলন চলছে। এবার সুর চড়াল বাম সংগঠন। শুক্রবার স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় নকশালবাড়ি বিডিও অফিসে। সেখানে বিডিওকে না পেয়ে গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান চা শ্রমিকরা। পরে নকশালবাড়ি-শিলিগুড়িগামী রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নকশালবাড়ি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গত মঙ্গলবার সিটুর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষের নেতৃত্বে ব্লকের মানঝা চা বাগানের ৮০জনের নাম বাতিলের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তারা। সেদিন বিডিওকে না পাওয়ায় এদিন বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচিতে নামে তারা। শ্রমিকরা নকশালবাড়ির পানিঘাটা মোড় থেকে মিছিল করে বিডিও অফিসে যান। তবে আগাম কর্মসূচির বিষয় জানিয়েও বিডিওকে না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন তাঁরা। এদিন এই কর্মসূচিতে সিপিএমের এরিয়া সম্পাদক বিকাশ চক্রবর্তী সহ সংগঠনের অন্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। পরে ঘণ্টাখানেক বিডিও অফিসের গেট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ চলে। পরে বিডিওর পরিবর্তে জয়েন্ট বিডিও যাদব রায়কে ৬দফার দাবিতে স্মারকলিপি দেন। তাঁদের অভিযোগ, নকশালবাড়ির বেলগাছি, মানঝা ও নকশালবাড়ি চা বাগান মিলিয়ে প্রায় ২০০জনের নাম বাতিল হয়েছে। এজন্য পুনরায় সার্ভে করে নাম নথিভুক্ত করার জোরাল দাবি জানান তারা। নিরপেক্ষভাবে নাম নথিভুক্ত করে যোগ্যদের প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সিটুর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, আগাম কর্মসূচি জানিয়েও বিডিওকে দপ্তরে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্লক প্রশাসন নিজেদের গাফিলতি এড়াতে চাইছে। যে বাগানের শ্রমিকদের নাম বাতিল হয়েছে, তাদের নাম এক সপ্তাহের মধ্যে সুনিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এবার বিডিও অফিসের দেওয়াল সুরক্ষিত থাকবে না।
এদিকে বিডিও চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটিতে গিয়েছেন বলে জানান জয়েন্ট বিডিও যাদব রায়। তিনি বলেন, দাবিগুলি উপর মহলে জানানো হবে। রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শ্রমিকদের। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।