পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এদিকে, শুকটাবাড়ির অবরোধে তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সিরাজুল হক নিজে শামিল হন। বঞ্চিতদের পাশে থাকতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সহ পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি দাবি করেন। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ঘর না পাওয়ায় আন্দোলনের বিষয়টিকে ন্যায্য বলে দাবি করলেও পদত্যাগের কোনও প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন।
শুকটাবাড়িতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌমেন দত্ত, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিসও চলে আসে। দীর্ঘ আলোচনার পর অবরোধ ওঠে। এ ঘটনায় কোচবিহার-মাথাভাঙা রাজ্য সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
সিরাজুল বলেন, কোনও কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০০-১২০০ লোক ঘর পাচ্ছে। আমাদের গ্রামে মাত্র ৪৪৬ জনের নাম রয়েছে। জেলার নেতারা এসব জানেন না। এসব আমরা মানব না। এখানে পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা পদত্যাগ করেছেন। জেলা সভাপতিকে হোয়াটসঅ্যাপ তাঁরা সেই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি অবশ্য বলেন, পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আবেদন এলেও গ্রহণ করা হবে না।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বলেন, যাঁরা যোগ্য তাঁরা সকলেই ঘর পাবেন। ধাপে ধাপে মিলবে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাও রাজ্যে পাঠানো আছে। পার্মানেন্ট ওয়েট লিস্টেও অনেকের নাম আছে।
ঘর না পাওয়ার অভিযোগ এনে অন্যদিকে রাস্তার উপর বাঁশ বেঁধে বিক্ষোভে শামিল হন তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাককাটিগছের বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। পরবর্তীতে তাঁদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। অবরোধে আটকে পড়েন নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ যাত্রীরা।
সমরেশ বসাক নামে এক বাসযাত্রী বলেন, কাজে বেরিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে আটকে। আবাস তালিকায় নাম নেই জন্য এভাবে রাস্তা আটকে বাকি মানুষকে দুর্ভোগে ফেলার কোনও মানে হয় না। আন্দোলনকারী মোমিনা বিবি, সোব্বুর আলি প্রমুখ বলেন, যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁদের নাম তালিকায় নেই। অথচ যাঁদের পাকা ঘর আছে তাঁরা ঘর পাচ্ছেন। গরিব খেটে খাওয়া মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমরা চাই, বিডিও নিজে এসে তদন্ত করুন। যদিও তুফানগঞ্জ-১ এর বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং বলেন, নতুন করে তালিকা তৈরি সম্ভব নয়।