পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
এদিকে, থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়া নিয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল সিদ্ধার্থ সরকারের বক্তব্য, আমি এনিয়ে কিছুই জানি না। মন্তব্যও করব না। আদালত যা নির্দেশ দেবে, সেটাই হবে। কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিস খতিয়ে দেখবে।
কলেজ সূত্রে খবর, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়ে পরিচালন সমিতি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রথমে প্রিন্সিপালকে ‘বাধ্যতামূলক ছুটি’তে যেতে বলে পরিচালন সমিতি। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রিন্সিপাল। তাঁর দাবি, কলেজ পরিচালন সমিতি এভাবে প্রিন্সিপালকে ‘বাধ্যতামূলক ছুটি’তে পাঠাতে পারে না বলে জানিয়ে দেয় আদালত। এরপরই গতমাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই প্রিন্সিপালকে ‘সাসপেন্ড’ করে কলেজ পরিচালন সমিতি। যদিও সেসময় প্রিন্সিপাল দাবি করেছিলেন, তিনি কোনও সাসপেনশনের চিঠি পাননি।
এই পরিস্থিতিতে এসি কমার্স কলেজে প্রিন্সিপালের ঘরে তালা ঝুলছে। একটি নয়, দু’টি। প্রিন্সিপালের বক্তব্য, তালা দিয়ে রাখার কারণে তিনি ‘প্রিন্সিপাল রুমে’ ঢুকতে পারছেন না। বিষয়টি তিনি যেখানে জানানোর জানিয়েছেন। অন্যদিকে, কলেজ পরিচালন সমিতির বক্তব্য, যেহেতু প্রিন্সিপাল তাঁর রুমে একটা তালা মেরে চলে গিয়েছেন, ফলে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লোপাট হওয়ার আশঙ্কাতেই আরও একটি তালা ঝোলানো হয়েছে।
কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা আইনজীবী দেবাশিস দত্তের বক্তব্য, প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আবারও স্পেশাল অডিট হবে। রিপোর্ট জমা না পড়া পর্যন্ত আইন মেনেই প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও প্রিন্সিপালের পাল্টা দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে পুরোটাই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। -ফাইল চিত্র।