পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে ঝিলের একাংশ। কচুরিপানার কারণে ঝিলে নৌকা চালাতে সমস্যা হচ্ছে মাঝিদের। ঝিলের চারপাশের সীমানা প্রাচীরের দেওয়াল ভাঙছে হাতির দল। ঝিলের জেটির সিঁড়িগুলিরও বেহাল দশা। পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। পর্যটকরা রাত্রিবাস করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও সিকিয়াঝোরায় একটি কটেজ তৈরি হয়ে পড়ে আছে।
সিকিয়াঝোরা পর্যটন কেন্দ্রটি দেখভালের দায়িত্বে আছে আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতি। আগে স্থানীয় আটটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই পর্যটন কেন্দ্রটি পরিচালনা করত। বর্তমানে তিন চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১৫-১৬ জন মহিলা পর্যটন কেন্দ্রটি চালাচ্ছেন। এখানে পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের জন্য মাথাপিছু ১০ টাকা ও বড়দের জন্য মাথাপিছু প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। জঙ্গলের ভিতর ঝিলে বোটিং করার জন্য নেওয়া হয় মাথাপিছু ৬০ টাকা। ডিসেম্বর পড়তেই ঝিলে বোটিং করার জন্য পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
পর্যটন কেন্দ্রটির কর্মী বিশ্বেশ্বর বর্মন বলেন, বড়দিনের পর থেকেই এখানে ভিড় আছড়ে পড়বে। কিন্তু বর্তমানে ঝিলটির দ্রুত সংস্কার হওয়া জরুরি। সংস্কার হলে ঝিলটি আরও আকর্ষণীয় হবে। বাড়বে পর্যটকদের ভিড়ও। ঝিলটিতে এখন দু’টি নৌকা দেওয়া হলেও বর্তমানে একটি চলছে। দু’জন মাঝি নৌকা চালাচ্ছেন। কিন্তু কচুরিপানার জন্য নৌকা চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রুত কচুরিপানা পরিষ্কারের দাবি উঠেছে। হাতির হামলায় ঝিলের চারপাশের ভেঙে যাওয়া সীমানা প্রাচীর সংস্কারের দাবিও উঠেছে।
মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য দেবজিৎ সরকার বলেন, পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য একটি কটেজ তৈরি হয়ে পড়ে আছে। আয় বাড়াতে পঞ্চায়েত সমিতির দ্রুত কটেজটি চালু করা দরকার। শিশুদের বিনোদনের জন্য দোলনাও আছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। এখানে একটি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর দাবি উঠেছে। মাঝেরডাবরি পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা অধিকারী বলেন, পর্যটন কেন্দ্রটির আমূল সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত সমিতিকে আগেই বলা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ফের সংস্কারের আর্জি জানানো হবে।
(উত্তরবঙ্গের আমাজন বলে পরিচিত সিকিয়াঝোরা ঝিলে নৌকাবিহার। - নিজস্ব চিত্র।)