গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
মঙ্গলবার সাতসকালে শহরের রাজবাড়িপাড়ার কম্পোজিট কমপ্লেক্স এলাকায় সুশান্তবাবুর বাড়ির পাশের দেওয়ালে এবং সামনের দু’টি দোকানে একাধিক পোস্টার দেখা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় কানাঘুঁষো। অনেকেই পোস্টার দেখতে চলে আসেন। কয়েকটি পোস্টার পড়ে সদর হাসপাতালের সামনে জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের অফিসের পাঁচিলে গেটের পাশে। কে বা কারা রাতে ওই পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। পোস্টারের বিষয়ে সুশান্ত রায় অবশ্য জানিয়েছেন, কোথায় কী পোস্টার পড়েছে জানি না। এসব নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তিনি আরও বলেন, এটা বলতে পারি, আমি বাড়িতেই আছি।
কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, কার বিরুদ্ধে কী পোস্টার পড়েছে জানা নেই। তবে কারও বিরুদ্ধে যদি পোস্টার পড়ে, তাহলে তিনি মনে করলে থানায় অভিযোগ করতেই পারেন। পুলিস সেইমতোই ব্যবস্থা নেবে। সদর হাসপাতালের উল্টোদিকে স্বাস্থ্যকর্তাদের যে অফিসের পাঁচিলে পোস্টার পড়েছে সেখানে অফিস রয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ’রও। তিনি অবশ্য বলেছেন, কোথায় কী পোস্টার পড়েছে, চোখে পড়েনি।
অভিযোগ, আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন ডাঃ সুশান্ত রায়। তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। খোঁজ মিলছে না তাঁর ছেলে ডাঃ সৌত্রিক রায়েরও। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত চিকিৎসক অভীক দের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অভীকের সঙ্গে তাঁর যে যথেষ্ট ‘সুসম্পর্ক’ তা স্বীকার করে নেন সুশান্তবাবু। বলেছিলেন, অভীকের সঙ্গে কথা হতো। ও আমাকে জ্যেঠু বলে ডাকে। একইসঙ্গে বলেন,তরুণী চিকিৎসক খুনের পরদিন খবর পেয়ে বিকেলে আমি মেডিক্যাল কাউন্সিলের টিম নিয়ে আর জি করে গিয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যা রটানো হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
স্বাস্থ্যদপ্তরের উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে আইএমএ’র বঙ্গীয় শাখা আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। পরে আইএমএ’র জলপাইগুড়ির বেশকিছু সদস্য সভা করে সপুত্র সুশান্ত রায়কে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ক্লিনচিট না পাওয়া পর্যন্ত যাতে তাঁদের আইএমএ’র সমস্ত কর্মসূচি থেকে বাইরে রাখা হয়, সেব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। যদিও এভাবে আইএমএ তাঁকে সাসপেন্ড করতে পারে না বলে আগেই জানিয়েছেন সুশান্তবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে আইএমএ’র বঙ্গীয় শাখা পদক্ষেপ করতেই সংগঠনের সদস্যরা জলপাইগুড়িতে পথে নেমেছেন। আওয়াজ তুলেছেন সুশান্তবাবুর বিরুদ্ধে। এবার সরাসরি তাঁর বাড়ির সামনে ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার ঘিরেও আলোড়ন ছড়িয়েছে।