গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
গ্রন্থাগার পরিচালন সমিতির সম্পাদক সুব্রত দাস বলেন, গ্রন্থাগারটি সচল রাখতে পূর্ণ সময়ের গ্রন্থাগারিক, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করতে হবে। বিডিও সৌমেন মণ্ডল অবশ্য বলেন, গ্রন্থাগারে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ৮৯৬ টি। স্থায়ী গ্রন্থাগারিক অবসর নেওয়ার পর নতুন করে আর কর্মী নিয়োগ হয়নি। এই গ্রন্থাগারের সাধারণ সদস্য প্রায় ৯৮০ জন। শিশু সদস্য ৩৪৬ জন। প্রথমে গ্রন্থাগারিক ও তারপর ২০১৬ সালে সহকারী গ্রন্থাগারিক অবসর নেন। তারপর থেকে আর কোনও স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়নি। গ্রন্থাগারটি সচল রাখতে ২০১৯ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মশালদহ বাসন্তী গ্রামীণ গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক বিপুল কুমার দেবকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সপ্তাহে একদিন গ্রন্থাগার খুলতেন। তিনিও ২০২২ সালের মে মাসে অবসর নেন। বর্তমানে গ্রন্থাগারের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন মহম্মদ আখতার। তিনি বলেন, আমি সামসি বৈদ্যনাথ পুর, হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরি, চাঁচল, মালতীপুর শরৎচন্দ্র বাণীমন্দির টাউন লাইব্রেরি সহ ছয়টি লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আমি সপ্তাহে একদিন শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর টাউন লাইব্রেরি যাই। হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজউদ্দিন আহমেদ জানান, পূর্বে গ্রন্থাগারটির নাম ছিল বান্ধব পাঠাগার। ১৯৭৪ সালে তা টাউন লাইব্রেরিতে উন্নীত হওয়ার পর ভূমিপুত্র তথা বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিধুশেখর শাস্ত্রীর নামাঙ্কিত করা হয়। বিপুল বইয়ের সম্ভারে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটিতে একসময় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠক, গবেষকদের অনেকেই উপস্থিত হতেন। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগারটি কর্মীর অভাবে নিয়মিত না খোলায় পাঠক মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
গ্রন্থাগার ভবনের সংস্কারও জরুরি। সীমানা প্রাচীর ভেঙে রয়েছে। এবিষয়ে মালদহ জেলা গ্রন্থাগারের এক আধিকারিক বলেন, জেলার গ্রন্থাগারগুলি কর্মী সঙ্কটে রয়েছে। একজন গ্রন্থাগারিককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। স্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র