গৃহসুখ বৃদ্ধি ও সপরিবারে আনন্দ উপভোগ। অন্যের দোষের দায়বহন করতে হতে পারে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্রের ওসি ভাস্কর নাগ বলেন, পুজোয় অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় দমকল বাহিনী প্রস্তুত। ছোট ও বড় ইঞ্জিন রাখার পাশাপাশি ‘দমকল বুলেট’ সর্বক্ষণ টহল দেবে। এজন্য কর্মীদের ডিউটি রোস্টার তৈরি করা হচ্ছে।
রাজ্যের ঘিঞ্জি শহরগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। মাঝেমধ্যেই এই শহরে ছোটখাট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুজোয় সে ধরনের ঘটনা সহজে মোকাবিলা করতে তৎপর অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দপ্তর। ইতিমধ্যে তারা ‘দমকল-বুলেট’ রাস্তায় নামিয়েছে। সেগুলির রং লাল। প্রতিটি বাইকের সামনে রয়েছে লালবাতি ও হুটার। বুলেটের পিছনে দু’পাশে থাকছে দু’টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। তাতে থাকছে ফোম। বুলেটগুলিতে থাকছেন দু’জন করে কর্মী।
শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্র সূত্রের খবর, বর্তমানে এই স্টেশনে বুলেটের সংখ্যা চারটি। প্রতি লিটার তেলে সেগুলি প্রায় ১০ কিমি ছুটতে পারে। দু’টি বুলেট সর্বক্ষণ দমকল কেন্দ্রে থাকবে। আর দু’টি বুলেট সাইরেন বাজিয়ে শহরের অলিগলি চক্কর কাটবে। দমকল কেন্দ্রের ওসি বলেন, বুলেটগুলি অনেকদিন আগেই এসেছে। নিয়মিত সেগুলি শহরে টহলও দেয়। যেখানে ছোট ও বড় গাড়ি পৌঁছতে পারে না সেখানে গিয়ে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলা করে বুলেটগুলি। পুজোর ক’দিন ওগুলি ২৪ ঘণ্টা শহরের গলিপথে টহল দেবে। ছোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তারাই মোকাবিলা করবে।
শুধু শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্র নয়, মহকুমার অন্যান্য দমকল কেন্দ্রেও এ ধরনের বুলেটের চাহিদা অনেকদিনের। অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা দপ্তর সূত্রের খবর, এক-দু’দিনের মধ্যে শিলিগুড়িতে আরও তিনটি বুলেট আসবে। মহকুমার যেসব দমকল কেন্দ্রে বুলেট নেই, সেসব কেন্দ্র পাঠানো হবে।
শুধু তাই নয়, এবার পুজোয় অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় নামানো হবে রোবট। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি দমকল কেন্দ্র রোবট প্রস্তুত রেখেছে। দমকল কেন্দ্র সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট স্টেশনে ছোট ও বড় মিলিয়ে গাড়ির সংখ্যা ছ’টি। পাম্প, জলের ট্যাঙ্ক ও র্যাডার রয়েছে। এছাড়া স্টেশনে বড় একটি র্যাডার ও রোবট আছে। যেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটবে, তাপের জেরে যেখানে দমকল কর্মীরা পৌঁছতে পারবেন না সেখানে ব্যবহার করা হবে রোবট। দমকল অফিসাররা বলেন, মেগা উৎসব দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নে কাটুক তা আমরা চাই। অগ্নিকাণ্ড সহ সব ধরনের মোকাবিলা করতে দমকল বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। - নিজস্ব চিত্র।