একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
নির্বাচনী সংঘর্ষ, প্রাণঘাতী লড়াই থেকে বিরত থাকার জন্য গানের মাধ্যমে আবেদন করছেন রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী থেকে সাধারণ ভোটারদের। প্রবল গরমে গান শুনতে শুনতে দু’দণ্ড জিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। তারিফ করছেন তাঁর বাউল-বার্তার।
বৈশাখের দীর্ঘ দগ্ধ দিনে মালদহের ইংলিশবাজারের রাস্তায় দেখা মিলল স্বপনবাবুর। জানালেন, পূর্ব বর্ধমানের খাজা আনোয়ার বেড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। কেন্দ্রীয় কমিশন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরের দিনই বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন ৫৮ বছরের স্বপন।
৮৪ বছরের বৃদ্ধা মা সহ স্বপন বাউলের পরিবারে রয়েছেন আট সদস্য। নিয়মিত রোজগার নেই বললেই চলে। গান শিখিয়ে বা গান শুনিয়ে যেটুকু উপার্জন হয়, সেটাই সম্বল গণতন্ত্রের পূজারি এই বাউলের।
তিনি বললেন, ভোট তো উৎসব। মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। নিজের ভোট নিজে দেবে। এই তো চাই। আর চাই রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থকরা যেন একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সৌজন্য ও বিনয় বজায় রাখেন। কোনও মায়ের কোল যেন অকালে খালি না হয়ে যায় নির্বাচনের মরশুমে।
বাসভাড়া, টোটোভাড়া বাঁচাতে কখনও স্বপন চেপে বসেন বাই সাইকেলে। এক সময় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর গানের তারিফ করেছিলেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর থেকেও মিলেছিল শংসাপত্র। সেসবই এখন সম্বল স্বপন বাউলের।
দুঃখের সঙ্গে জানালেন, গণতন্ত্রের জন্য রাস্তায় নেমেছি। শিলিগুড়ি থেকে মালদহে এসে একটি রাত রেলের ওয়েটিং রুমে থাকার আবেদন করেছিলাম। প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। রাত কাটিয়েছি গাছতলায়। তবুও হাল ছাড়ছি না। গণতন্ত্রের জন্য আমি গেয়েই যাব। বুধবার রাতে ফিরেছেন বর্ধমানে। বৃহস্পতিবার থেকে চড়া রোদ মাথায় করে আবার বেরিয়ে পড়েছেন। যাবেন বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বসিরহাট, ভাঙর সর্বত্রই।
গেয়ে চলেছেন, ‘মায়ের কোল শূন্য যেন কেউ কোরো না...জাত পাত, ধর্মের ভেদাভেদে গোষ্ঠীর প্রলোভনে কেউ পড়ো না...।’ নিজস্ব চিত্র।