একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
পাহাড়ে ভোটের হার কম হওয়ায় কারণেই বিজেপির চাপ অনেকটা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। গতবার পাহাড়ে ব্যাপক ভোট পড়েছিল এবং বিজেপি বিপুল লিড নিয়েছিল। এবার ভোট যেমন কম পড়েছে তেমনি ভোট ভাগাভাগিও হয়েছে। পাহাড়ের প্রধান দল অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সঙ্গে থাকায় তৃণমূল এবার বিজেপিকে যথেষ্ট চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক মহিলার ভোটদানও তৃণমূলকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলেছে।
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির কারণে মহিলাদের সিংহভাগ ভোট তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে গিয়েছে। গত শিলিগুড়ি পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কারণে মহিলা ভোট বেশি পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল। এই কারণেই শিলিগুড়ি সহ গোটা দার্জিলিং কেন্দ্রে শান্তিতে ভোট হওয়ার পরও বিজেপি জয়ের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। বিজেপির এক জেলা নেতা বলেন, সমতলে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হওয়াটা আমাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভোটের হার কমে যাওয়াটাও বিজেপির কাছে অশনি সংকেত বলেই মনে হচ্ছে।
এবার শুরু থেকেই বিজেপি দার্জিলিং আসনে পাঁচ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ের জিগির তুলেছিল। কিন্তু শুক্রবার ভোট শেষ হতেই তারা সেই ব্যবধানের কথা আর বলছে না। জিতব বললেও, কত ব্যবধানে রাজু বিস্তা জিতবেন তাও জোর দিয়ে বলতে পারছে না। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, পাহাড়ে আমাদের ভোট কমবে। ব্যবধানও বেশি থাকবে না। তবে আমরাই জিতব।দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, আমাদের লক্ষ্যই ছিল বেলা ১২টার মধ্যে সব মহিলারা যাতে ভোট দিয়ে দেন তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া ছিল, প্ররোচনায় পা দিয়ে কোথাও অশান্তিতে জড়াবেন না। কেননা বিজেপি চাইবে অশান্তি করতে। অশান্তি হলে মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। আমাদের কর্মীরা নিজেদের সংযত রাখায় শান্তিতে ভোট হয়েছে, যা বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। তবে বামের ভোট রামে যাওয়ায় শিলিগুড়ি শহরে হয়ত আমরা বেশি লিড পাব না। তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা বলেন, পাহাড়ে যে ভোট পড়েছে তার বেশিরভাগই আমাদের ভোট। ভোটের হার বেশি হলে বিরোধী এবং ফ্লোটিং ভোট পড়ত। তৃণমূল এবং বিজেপি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মুণীশ তামাং অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কিছু বলতে পারছেন না।
তিনি শুধু বলেন, ভোটের ফল উপরওয়ালার হাতে।