সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: অসম-বাংলা সীমানা ও ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত দুর্গম ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে পৌঁছে গেলেন ভোটকর্মীরা। কোথাও নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে, আবার কোথাও বনদপ্তরের প্রহরায় তাঁরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছলেন। 
কুমারগ্রাম ব্লকের দুর্গম ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম জয়দেবপুর টাপু, বিত্তিবাড়ি, খোয়ারডাঙা-১ পঞ্চায়েতের ধনতলি টাপু এবং ভল্কা-বারোবিশা ২ পঞ্চায়েতে মুসলিম চর, ঝিঝরি শালবাড়ি। এছাড়াও চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের বালাপাড়া, খুট্টিমারি, এনকেএস পঞ্চায়েতের নিউল্যান্ডস, কুমারগ্রাম ও সঙ্কোশ বনবস্তি, তুরতুরিখণ্ড পঞ্চায়েতের ভুটিয়াবস্তি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিও দুর্গম এলাকায়। ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। এদিন বিকেলে নৌকাতে রায়ডাক নদী পার হয়ে কুমারগ্রামের জয়দেবপুরে টাপুতে পৌঁছন ভোটকর্মীরা। ধনতলিটাপু ও বিত্তিবাড়ি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও নদী পার পৌঁছতে দেখা যায় কর্মীদের।
অন্যদিকে নিউল্যান্ডস, কুমারগ্রাম, সঙ্কোশ, বালাপাড়া, খুট্টিমারি, ভুটিয়াবস্তির মতো জঙ্গল ও জঙ্গল সংলগ্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বনকর্মীদের প্রহরায় কর্মীরা পৌঁছেছেন। ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত তুরতুরিখণ্ড পঞ্চায়েতের ভুটিয়াবস্তির বাসিন্দারা এবার শেষবার সেখানে ভোট দেবেন। সেখানে মোট ভোটার ৮৯ জন। ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটির নির্দেশে ভুটিয়াবস্তির বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।