সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
পাহাড়ি গ্রামের মানুষ ফুলের মালায় স্বাগত জানান ভূমিপুত্র গোপাল লামাকে। একাধিক জায়গায় পাহাড়ের মানুষ প্রার্থীর হাতে তুলে দেন এলাকায় কী কী উন্নয়ন করতে হবে তার দাবিপত্রও। পাহাড়ের জনপদে থাকা ভুটিয়া, শেরপা, গুরুং, নেওয়ার, ভুজেল, মগর জনজাতির মানুষ তাঁর সঙ্গে দেখা করে অভ্যর্থনা জানান। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার পর প্রার্থীকে কয়েকদিন পাহাড়ে পড়ে থেকে প্রচার করার নির্দেশ দিয়ে যান। এরপরই বুধবার সকালে গোপাল পাহাড়ে উদ্দেষে রওনা হন। গোপাল লামার সঙ্গেই সমতল থেকে বেশকিছু তৃণমূল ও বিজেপিএম সদস্য দু’টি হুডখোলা জিপ নিয়ে কার্শিয়াংয়ে পৌঁছন। বুধবার সকালে গোপাল প্রথমে পৌঁছন সুকনায়। সেখানে বিজেপিএম সভাপতি অনীত থাপা, জিটিএর সভাসদ সহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা প্রার্থীকে ফুলের মালা পরিয়ে হাতে পুস্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান। সুকনা থেকেই ১৩টি গাড়ি নিয়ে পাহাড়ে গোপালের প্রচার শুরু হয়। যদিও সুকনাতে গোপালের প্রচার শুরু করে দিয়েই পাহাড়ের অন্য অংশে তৃণমূলের প্রচার ও জনসভার প্রস্তুতির জন্য চলে যান অনীত। তবে জিটিএর সভাসদ ও জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় বাসিন্দারা প্রার্থীর প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রতিটি জনপদে পাহাড়ের মানুষের উচ্ছ্বাস, উদ্দিপনা দেখে আপ্লুত ছিলেন গোপাল। সুকনার পর ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক হিলকার্ট রোড ধরে রংটংয়ে যান প্রার্থী। সেখানেও স্থানীয় মানুষের উচ্ছ্বাসে আবেগে ভাসেন গোপাল। পাহাড়ের ছোটছোট গ্রামেও প্রচার সারেন। রংটং থেকে গয়াবাড়ি হয়ে মহানদী এলাকায় প্রচার সেরে বিকেলে কার্শিয়াং পৌঁছন। কার্সিয়াং রেল স্টেশনে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভার আয়োজন করেছিল বিজিপিএম। জনসভা শুরু হওয়ার বেশকিছুটা পরে প্রার্থী এসে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দার্জিলিং পাহাড়ের তৃণমূলের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী। বুধবার রাতে গোপাল লামা কার্শিয়াংয়েই থাকেন।
প্রচারে গয়াবাড়ি, রংটং এলাকায় পাহাড়ের মানুষ বিজেপি হটাও পাহাড় বাঁচাও স্লোগান তোলেন। বুধবার প্রচারের সময় রোহিণী এলাকায় বিভিন্ন দল থেকে শতাধিক কর্মী অনীতের দল বিজেপিএমে যোগদান করেন।