সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: রবিবার রাতে পারিবারিক বিবাদে বংশীহারির গৌরীপাড়ায় বধূকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলে ও স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃতার নাম ছবিয়া রবিদাস (৫৮)। বাড়ি গৌরীপাড়াতেই। পুলিস মৃতার ছেলে মিঠুন রবিদাসকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে স্বামী পূর্ণ রবিদাস পলাতক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে অভিযুক্তের বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বধূকে পড়ে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা। পরে বংশীহারি থানার পুলিস দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছেলে ও স্বামী প্রায় রাতেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে ছবিয়ার সঙ্গে অশান্তি করত। রবিবার রাতেও স্বামী ও ছেলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে আসে। বধূ এর প্রতিবাদ জানান। সেইসঙ্গে পারিবারিক নানা সমস্যার কথা ছেলে ও স্বামীকে জানাতেই তারা ক্ষুব্ধ হয়ে রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে বলে অভিযোগ। বধূর ভাই লক্ষ্মণ রবিদাস জামাইবাবু ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন বংশীহারি থানার পুলিস ছেলেকে গ্রেপ্তার করে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলে। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বংশীহারি থানার আইসি অসীম গোপ বলেন, গৌরীপাড়ায় সোমবার সকালে বধূকে খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক। বধূর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া যুবক মাকে পিটিয়ে খুনের কথা জেরায় স্বীকার করেছে। গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। মৃতার স্বামীর খোঁজ চলছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। মৃতার ভাই লক্ষ্মণ রবিদাস বলেন, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নে সংসার খরচ না দিয়ে প্রতিদিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে অশান্তি করত। রবিবার রাতেও মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এলে বোন প্রতিবাদ করে। তারপরই বোনকে ওর স্বামী ও ছেলে মিলে মারধর করে। এদিন সকালে বোনের মৃতদেহ বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। ছেলে বাড়িতেই ছিল। আমি থানায় খুনের অভিযোগ করেছি। পুলিস অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক।