সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
ঘটনাটি ঘটে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গঙ্গারাম চা বাগানের খুঁটিপাড়ায়। ঘাতক ট্রাক্টর চালক পালিয়ে যায়। চালককে গ্রেপ্তার সহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পুলিস জনতাকে সরাতে গেলে পাথর বৃষ্টি শুরু হয়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক যানবাহন। জখমও হন পুলিস কর্মীরা। পরে বাগডোগরা থানার ওসি পার্থসারথি দাস ঘাতক ট্রাক্টর চালককে গ্রেপ্তারের লিখিত অশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়ে সন্ধ্যায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি মাটিগাড়ার নার্সিংহোমে মৃত শিশুর চিকিৎসাধীন দাদার সঙ্গে দেখা করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, একটি ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয় আরএকজন। ঘাতক ট্রাক্টর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক হতে থাকায় অ্যাকশন নেওয়া হয়েছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাগানের পাক্কা লাইনের বাসিন্দা লিয়ন কুজুর (৪) ও তার বছর দশেকের দাদা ইনোসেন কুজুর একটি সাইকেলে করে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। তাদের বাড়ি থেকে এক কিমি যেতেই কাঁচা রাস্তায় একটি পাথর বোঝাই ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাইকেলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই লিয়নের মৃত্যু হয়। ইনোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। যদিও চালক পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায় ঘটনাস্থলে। আসে বাগডোগরা থানার পুলিস। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
ট্রাক্টর চালককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে পুলিস ভ্যান আটকে বিক্ষোভ চলে। পরে গঙ্গারাম চা বাগান সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দেহ রেখে অবরোধ শুরু হয়। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (হেড কোয়ার্টার) তন্ময় সরকারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী আসে। বেলা ২টো হয়ে গেলেও অবরোধ না ওঠায় পুলিস অবরোধকারীদের সরাতে গেলে পাথর বৃষ্টি শুরু হয়। ঢিলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যানবাহন। প্রায় ৩০ জন পুলিস কর্মী কমবেশি আঘাত পান। পরে ট্রাক্টর চালককে গ্রেপ্তার, জখম শিশুর চিকিৎসা, এলাকায় ট্রাক্টর চলাচল বন্ধের মতো দাবি নিয়ে পুলিসের লিখিত আশ্বাস পাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হেটমুড়ি-সিঙ্গিঝোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জগন্নাথ রায় বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। টাইপু নদীঘাটে প্রতিদিন খনন চলছে। এতে অনুমতি রয়েছে কি না তা ভূমিদপ্তরকে তদন্ত করার জন্য আবেদন রাখব।