সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর ধরেই এরাজ্যে রামনবমী পালনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বৈরথ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পদ্ম শিবির রামনবমীকে রাজনীতির হাতিয়ার করছে বলে তৃণমূল বারবার অভিযোগ করছে। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিনটিকে নিছক ধর্মীয় উৎসব হিসেবেই পালন করার দাবি করে এসেছে।
বাবলাবাবু বলেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হিসেবে আমি বহুদিন ধরেই রামপুজো করে আসছি। দলের ব্যানারেই কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিন রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয়েছিল। বুধবার সকাল থেকে এলাকার রাম মন্দিরে পুজোপাঠ হবে। সন্ধ্যায় ভোগ খাওয়ান হবে। অন্যান্য জায়গাতেও দলের নেতারা রামপুজো করবেন। তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি নেতৃত্বও বুধবার রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন। বিজেপির জেলা মিডিয়া ইনচার্জ অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত শোভাযাত্রায় আমরা অংশ নেব। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ ইংলিশবাজার শহরের রামকৃষ্ণপল্লির মাঠে জমায়েত হবে। শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমার পর রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে শেষ হবে। সেখানে রামভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। কর্মসূচি থেকে আমরা কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখব না। ধর্ম, বর্ণ ও মত নির্বিশেষে সকলেই আমাদের মিছিলে অংশ নিতে পারেন। অন্যদিকে, চাঁচল রামনবমী উদযাপন কমিটির তরফে বুধবার সদরজুড়ে সুবিশাল শোভাযাত্রা বের হবে। চাঁচলের রামলীলা ময়দান থেকেও শোভাযাত্রা বের হবে। এখানে চাঁচল ১ ব্লকের কমবেশি প্রতিটি গ্রামের মানুষ শামিল হয়। কিন্তু রাজনৈতিক কোনও দল সরাসরিভাবে এই শোভাযাত্রার সঙ্গে যুক্ত নয়।
রামনবমী উদযাপন কমিটির সদস্য সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, এটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এরসঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত থাকবে। চাঁচল পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, প্রতি বছর এলাকাবাসীর সঙ্গে শোভাযাত্রায় শামিল হই। এবারও হব। একই বক্তব্য চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অঙ্কুর পোদ্দারের। তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও শোভাযাত্রায় শামিল হব।