বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিন রাতে পুলিসের কাছে খবর আসে, একটি ছয় চাকার ট্রাকে করে গোরু পাচার হচ্ছে। ট্রাকটি ময়নাগুড়ির দিক থেকে জাতীয় সড়ক হয়ে অসমের দিকে যাচ্ছে। এই খবর পেয়ে ইন্দিরা মোড় এলাকায় ওঁত পেতে বসে থাকে পুলিস। এরপরই সেই ট্রাকটি দেখতে পেয়ে পুলিস থামতে বলে। কিন্তু চালক গাড়িটি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই ওই ট্রাকের পিছু নেয় পুলিস ভ্যান। প্রায় ৬ কিলোমিটার পিছু নিয়ে টোল প্লাজার সামনে ট্রাকটি ধরে ফেলে পুলিস। তবে সুযোগ বুঝে খালাসি পালাতে সক্ষম হলেও, চালক পুলিসের জালে ধরা পড়ে যায়।
তদন্তকারী এক পুলিস আধিকারিক জানান, ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন এলাকায় গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করা হলেও, চালক সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। গোরু বহনের কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি অভিযুক্ত। জেরায় তার কথায় অসঙ্গতি মিলতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোরুগুলিকে খোঁয়াড়ে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, মে মাসে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস এভাবে এক ১৮ চাকার ট্রেলারের পিছু নিয়ে ২৫টি মোষ উদ্ধার করেছিল। ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। এছাড়াও ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে কিছুদিন আগে ১৭টি মোষ উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। উদ্ধার হওয়া মোষগুলিকে ইসলামপুর থেকে আলিপুরদুয়ার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ঘটনায় অসমের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি জাতীয় সড়কে ও সার্ক রোডে প্রতিনিয়ত নজরদারি রাখা হচ্ছে। এদিন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৬টি গোরু সহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগেও ময়নাগুড়িতে গোরু পাচার রুখে দিয়েছে পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোরুর পাশাপাশি সম্প্রতি মোষ পাচার বেড়ে গিয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। পাচার চক্রের পান্ডা ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা। তারা এলাকায় এজেন্ট নিযুক্ত করে ওই কারবার চালাচ্ছে। কখনও গাড়িতে করে, কখনও আবার ট্রাকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গোরু।