পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো ভোট নির্বিঘ্নে করতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হবে। ইতিমধ্যে ভোটকর্মী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বুথে পৌঁছে গিয়েছেন। দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, কমিশনের নির্দেশ মতো আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নাকা তল্লাশির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় টহল চলছে।
১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে হয়। শুধুমাত্র কোচবিহারে কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ঘটে। এর বাইরে তিন কেন্দ্রেই ভোট নির্বিঘ্নে হয়। সেই ছকেই এবার দার্জিলিং আসনে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ১৯৯৯টি। এরমধ্যে অতিরিক্ত বুথ সাতটি। তারমধ্যে ১০৭১টি বুথ স্পর্শকাতর। ভালনারেবল বুথের সংখ্যা শতাধিক। এমন বুথের সংখ্যা পাহাড়েই বেশি। প্রতিটি বুথেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। এজন্য দার্জিলিংয়ে ৫১, কালিম্পংয়ে ১৬ ও শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের অধীনে ২১ কোম্পানি জওয়ান পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর বাইরে দার্জিলিংয়ে অতিরিক্ত পুলিস সুপার ও ডিএসপি পদমর্যাদার বেশকিছু অফিসার এবং ২৯০০ জন রাজ্য পুলিসের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট এলাকায় নামানো হয়েছে রাজ্য পুলিসের ১৪০০ ফোর্স।
পুলিস অফিসাররা বলেন, রাজ্য পুলিসের ফোর্স বুথের বাইরে থাকবে। তারা স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর এলাকায় টহল দেবে। এছাড়া আরটি, কিউআরটি সহ কয়েকটি টিম তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় চলছে নাকা তল্লাশি। অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বুথের পাশাপাশি আশপাশের এলাকাতেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমেও চলবে বুথে নজরদারি। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতিটি বুথেই থাকবে সিসি ক্যামেরা। যার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কলকাতা ও দিল্লির অফিস থেকে বুথগুলিতে সরাসরি নজরদারি চালানো হবে। তবে কিছু বুথে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বা মোবাইল টাওয়ারের ব্যবস্থা দুর্বল। সেগুলি একসময় শ্যাডো জোন হিসেবে চিহ্নিত ছিল। সেগুলিতে মাইক্রো অবজার্ভার মোতায়েন করা হবে। সেগুলির ভোটগ্রহণ পর্ব ভিডিও ক্যামেরায় রেকর্ডিং করা হবে। পুলিসের আরটি সেটের মাধ্যমে কেন্দ্রগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে।
শুধু তাই নয়, ভোট নির্বিঘ্নে করতে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা সিল করা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমার পাশেই বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্ত। প্রশাসনের অফিসাররা জানান, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে ভোটের তিন দিন আগে অর্থাৎ বুধবার থেকেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করা হয়েছে। বিএসএফ ও এসএসবি’র সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। ভোট পরিচালনা করতে আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল একটি কন্ট্রোল রুম থেকে ভোটের ময়দান নিয়ন্ত্রণ করবেন। পাশাপাশি সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেও থাকবে সাতটি কন্ট্রোল রুম।