বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে মালদহে বিমান ওঠানামার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হতে শুরু করেছে। নিদেনপক্ষে হেলিকপ্টার ওঠানামাও করছে না। মালদহ থেকে কলকাতা পর্যন্ত চপার বা কপ্টার চালুর ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তা সেভাবে কার্যকর হয়নি। ফলে মালদহ বিমানবন্দর কার্যত পরিত্যক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। সেখানে বর্তমানে গবাদিপশু চরে বেড়ায়। রানওয়েতে অনেকেই বাইক বা চারচাকা চালানো শেখেন। অবিলম্বে যাতে বিমানবন্দরটি চালু হয়, সেই দাবিতে মালদহবাসী সরব হয়েছেন। সম্প্রতি জেলা সফরে এসে গাজোলের সরকারি সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মালদহ বিমানবন্দর সম্প্রসারিত হবে। তার জন্য জমি চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে। দ্রুত যাতে বিমান চলাচল শুরু হয়, তা আমরা দেখছি।
এ ব্যাপারে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, আমাদের দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকে কিছুদিন আগে ডেপুটেশন জমা দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীও বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে গেলেন। ফলে শীঘ্রই জেলার মাটি থেকে বিমান উড়বে বলে আমরা আশাবাদী। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, বিমানবন্দর চালু হলে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে। ব্যবসায়ী সহ সমস্ত জেলাবাসী প্রয়োজন মতো কম সময়ে বিমানে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫০ একর জমিতে ষাটের দশকে মালদহ বিমানবন্দর চালু হয়। প্রথমদিকে অবশ্য যাত্রী পরিবহণের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। সেসময় আমের মরশুমে পণ্য পরিবহণের জন্য বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করা হতো। বিমানবন্দর তৈরির সময় রেললাইন লাগোয়া ওই এলাকা ফাঁকা ছিল। বন্দরের চারপাশে মাঠ এবং বাগান ছিল। পাশাপাশি অনেক ডাঙাজমিও ছিল। ফলে একটি বড়সড় বিমানবন্দর গড়ে ওঠার পক্ষে সেখানে আদর্শ পরিবেশ ছিল। তা অবশ্য এখনও কাজে লাগানো যায়নি। তবে মাঝেমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বিমানবন্দরটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু তা চিরস্থায়ী হয় না। মাঝে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী গনিখান চৌধুরীর উদ্যোগে ছোট বিমান পরিষেবা চালু হয়। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে ইংলিশবাজার শহর আকারে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। শহর প্রসারিত হওয়ার বলে বিমান বন্দরের চারপাশে বসতি গড়ে উঠেছে। ইংলিশবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়ি থেকে বিমানবন্দর ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত। মালদহ টাউন রেল স্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ড থেকে বিমানবন্দরের দূরত্ব বেশি নয়। ফলে বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায় অনেকেই জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করেছেন। বহুতল তথা নতুন বসতি বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বাধা হতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার মালদহ বিমান বন্দরটিকে পুরোদমে চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তরফেও বিমানবন্দরটিকে ঢেলে সাজার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হয়েছে। সকলেই বিমান পরিষেবা চালুর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা এখনও সফল হয়নি। তবে রাজ্য সরকারের তরফে বারবার প্রতিনিধিদের মালদহে পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিকল্প হিসেবে চালু হয়েছিল হেলিকপ্টার পরিষেবা। কিন্তু তাও বেশিদিন চলেনি। নতুন করে পদক্ষেপ করা হয় কি না সেদিকে সকলে তাকিয়ে রয়েছেন।
ফাইল চিত্র