বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের মরশুম শুরু হতেই সীমান্ত এলাকায় রীতিমতো দৌরাত্ম্য শুরু হয় চোরাকারবারিদের। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে। পেটলা নেপড়ায় লাল মিঁয়ার গোষ্ঠী করিম মিঁয়া ও হাকিম মিঁয়ার গোষ্ঠীর কাছে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা পায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, নানা বাহানায় টাকা দিতে চাইছিল না হাকিম মিঁয়ারা। স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যস্থতায় টাকা দিয়ে দেওয়ার কথাও দিয়েছিল হাকিম মিঁয়ারা। কিন্তু, লাল মিঁয়া ও তার গোষ্ঠীর লোকজন হাকিম মিঁয়ার গোষ্ঠীর একজনকে আটকে রেখে টাকা দাবি করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ছাড়াতে রীতিমতো দলবল নিয়ে লাল মিঁয়ার বাড়িতে হামলা চালায় হাকিম মিঁয়ারা। দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলির লড়াই চলে। যে পথচলতি যুবক আহত হয়েছেন, সেও একসময় লাল মিঁয়ার সঙ্গেই চোরাচালানেও যুক্ত ছিল বলে স্থানীয়দের অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু, ওই যুবক দাবি করেছে, সে এখন চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত নেই।
অন্যদিকে, হাকিম, করিম সহ ভুলু নামে একজন আনন্দ বর্মন খুনে অভিযুক্ত। তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। অভিযোগ, প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ২৪ ঘণ্টা পরও পুলিস অভিযুক্তদের নাগাল পেল না, এটা কীভাবে হতে পারে? এ নিয়ে পুলিসের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, পুলিসের মদতেই হাকিম মিঁয়ারা বাড়িতে থেকেই দিব্যি চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে। নাগাল পাচ্ছে না সিবিআইও।
যদিও শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর এলাকায় পুলিসি টহলদারি চলছে। পার্শ্ববর্তী পেট্রল পাম্পের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে রাসেল মিঁয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শীঘ্রই ওই ঘটনায় জড়িতরা গ্রেপ্তার হবে।