বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর শহরে বিগ বাজেটের ও মাঝারি বাজেট মিলিয়ে ৫০টির বেশি পুজো হয়ে থাকে। পুজোর পাঁচ দিন লাগাতার বৃষ্টির কারণে অনেকেই প্রতিমা দেখতে পারেননি। দশমীর দিন রাতে আবহাওয়া ভালো থাকায় গঙ্গারামপুর শহর থেকে মহকুমা জুড়ে সন্ধ্যা থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে। রাতে পায়ে হেঁটে ও ছোট গাড়ি নিয়ে প্রতিমা দেখতে বেরিয়ে পড়লেও ট্রাফিকের কোনও কড়াকড়ি চোখে পড়েনি। গঙ্গারামপুর শহরের সর্বজনীন ও বাড়ির পুজো বিসর্জন হয় পূণর্ভবা ঘাটে। একই ভাবে বুনিয়াদপুর শহরের বেশিরভাগ প্রতিমা পুরসভার উদ্যোগে টাঙ্গন নদীর ঘাটে বিসর্জন হয়। গঙ্গারামপুর শহরে এতদিন প্রতিমা বিসর্জনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এবারে গঙ্গারামপুর পুরসভা প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করেছে। দশমীর দিন গঙ্গারামপুর নিউ মার্কেট শিবমন্দির পূণর্ভবা ঘাটে ট্রলির মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে প্রতিমা বিসর্জনের দায়িত্ব নেয় পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবমন্দির ঘাটে বাহারি আলো দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। নদীর ঘাটে পাশে বসে দশমীর মেলা। পুলিস ও পুরসভা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। পুজো উদ্যোক্তারা শোভাযাত্রা করে ঘাটে প্রতিমা নিয়ে আসে। তারপর পুরসভা কর্মীরা ইলেকট্রনিক চ্যানেলে প্রতিমা তুলে দেন। চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিমা সাত পাঁক ঘোরানোর পরে নদীতে প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়। নদী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কাঠামো তুলতে ক্রেনের ব্যবহার করে পুরসভা। সমস্ত বিষয় তদারকি করেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। তিনি বলেন, এবারে আমার প্রথম বিসর্জনের ব্যবস্থা করছি। আগে যে যেমন বিসর্জন করত, নির্দিষ্ট কোনো জায়গা ছিল না। আমরা সমস্ত উদ্যোক্তাদের শিবমন্দির ঘাটে বিসর্জনের জন্য আমন্ত্রণ করেছি।
