বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রেলকে এই ডিভাইস বসাতে সাহায্য করছে স্ন্যাপ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে ওই ডিভাইসের কার্যকারিতা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার বিভাগের ডিআরএম দিলীপকুমার সিং ও ওই সংস্থটির চেয়ারম্যান কৌস্তুভ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ছিলেন রেলের আলিপুরদুয়ার বিভাগের অন্য আধিকারিকরাও। ওই সংস্থা ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো হবে গোরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে। ওই জাতীয় উদ্যান লাগোয়া ধরণীপুর চা বাগান এলাকায় চারটি এবং রেডব্যাঙ্ক ও দেবপাড়া চা বাগান এলাকায় ১৮টি করে মোট ৩৬টি এই ডিভাইস বসানো হবে। এরপর আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৬০টি এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো হবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকায়।
ডিআরএম বলেন, গত তিনবছরে রেলে কাটা পড়ে কোনও হাতির মৃত্যু হয়নি। কারণ আমরা সতর্ক হয়ে ট্রেন চালাচ্ছি। আশা করছি, ট্রেনে হাতির মৃত্যু রুখতে এই নতুন যন্ত্র অনেকটাই সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, একসময় ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া এই রেল লাইনে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা আকছারই হতো। যদিও এটা ঠিক যে গত তিনবছরে ডুয়ার্সের এই রেলপথে ট্রেনের ধাক্কায় একটিও হাতির মৃত্যুর খবর নেই। আগের থেকে রেল এখন অনেকটাই সতর্ক ও সজাগ। তবে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু রুখতে নতুন এই ডিভাইস কতটা কার্যকর হবে সেটা সময় হলেই বোঝা যাবে। সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, এই ডিভাইস বসলে ডুয়ার্সের রেলপথে ট্রেন-হাতি সংঘর্ষ অনেকটাই কমে আসবে। ওই সংস্থা ও রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একএকটি এলিফ্যান্ট ট্র্যাকিং ডিভাইস ২৫০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে সক্রিয় থাকবে। ডিভাইসগুলি জিএসএম ও জিপিএস পদ্ধতিতে কাজ করবে। তাতে থাকবে এলিফ্যান্ট ইনফ্রা সাউন্ড ফ্রিকোয়েন্সি, সাইরেন ও লাইট। এগুলি কাজ করবে সোলার ব্যাটারিতে। রেল লাইনের কাছাকাছি হাতি চলে এলেই ডিভাইস থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সঙ্কেত যাবে রেল ও বনদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে। তারপর সেই সঙ্কেত যাবে ট্রেনের চালকের কাছে। সঙ্কেত পেলেই চালক সতর্ক হয়ে যাবেন।