বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
যদিও অভিযোগ, দাবি মতো টাকা না দিলে ময়নাতদন্তে দেরি করা হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ ঠিকমতো সেলাই করা হয় না। ফলে মৃতদেহ নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় বাড়ির লোককে। তাই নিরুপায় হয়ে মৃতের পরিবারকে টাকা দিতে হয়।
বুধবার সুপার বলেন, কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি এসে আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তাঁর এক আত্মীয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য মর্গের কর্মীরা মোটা টাকা দাবি করে জুলুমবাজি করছে। কিন্তু, কে বা কারা টাকা চেয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি নির্দিষ্ট করে কোনও নাম জানাতে পারেননি। এ কারণে অভিযোগ পেয়েও আমরা বিষয়টি ধরতে পারছি না। নাম সহ অভিযোগ পেলে আমরা পদক্ষেপ করতে পারি। কিন্তু, শোকগ্রস্ত পরিবারের পরিজনেদের তখন মর্গের কর্মীদের আলাদা করে অভিযুক্তর না পরিচয় জানার মানসিকতা থাকে না। সহজেই মর্গের কর্মীদের চেনারও কোনও উপায় নেই। মর্গের কর্মীদের একঝলকে চেনা বা তাঁদের নাম জানার জন্য ইউনিফর্ম ও কর্মীর নামাঙ্কিত ব্যাচ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সুপার বলেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের এ ধরনের নিয়মে আনা হচ্ছে। মর্গের কর্মীদের এর আওতায় আনা হলে ময়নাতদন্তে টাকা নিয়ে জুলুমবাজির অভিযোগে রাশ টানা যাবে। বিষয়টি মর্গের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পরবর্তী আলোচনায় রাখা হবে। এই নিয়ম চালু হলে সাধারণ মানুষ ইউনিফর্ম ও নামাঙ্কিত ব্যাচ দেখে মর্গের কর্মীদের চিহ্নিত করতে পারবেন। নির্দিষ্ট পরিচয় সহ অভিযোগ পেলে মর্গে টাকা নিয়ে জুলুমবাজির অভিযোগ বন্ধ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করা যাবে।