বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মাথাভাঙা-১, ২ ব্লক সহ শীতলকুচি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় আমনের শিষ বের হওয়ার পর ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বলেন, কয়েকদিন রোদ ছিল। প্রথমটাই ভেবেছিলাম রোদের কারণে গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, পরে দেখি পোকার আক্রমণে এমনটা হচ্ছে। গোটা জমির ধানে তা হচ্ছে না। কোনও একটি অংশে লাগানো ধানে পোকার আক্রমণ হয়েছে। এই পোকার আক্রমণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতবছরও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কৃষিদপ্তরের পরামর্শে ফসল বাঁচানো গিয়েছিল। এবারও আমরা চাই কৃষি বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিক।
মাথাভাঙা মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) অশোককুমার দে বলেন, মূলত দু’টি পোকার কারণে এভাবে খেতের ধান গাছ মরে যেতে পারে। প্রথমত বাদামি পোকার আক্রমণে, দ্বিতীয়ত ঝলসা রোগের কারণে। খেতে এলে কাপড়ে ছোট ছোট মশার মতো পোকা আঁকড়ে ধরলে তখন বুঝতে হবে ধানে বাদামি পোকার আক্রমণ হয়েছে। গতবছর মাথাভাঙা মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ধান খেত পোকার আক্রমণ আমরা খতিয়ে দেখেছিলাম। তখন চাষিদের পরামর্শ দিয়ে এসেছিলাম। বাদামি পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে চাষিদের আগাম সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বাদামি পোকা এবং শিষকাটা ল্যাদা পোকার আক্রমণ থেকে গাছ বাঁচানোর জন্য হেস্টাক্লোনাজোল জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন কৃষকরা।
প্রসঙ্গত, এবারে আমন মরশুমের প্রথম দিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়নি। পরবর্তীতে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চাষিরা জমিতে আমন ধান রোপণ করেন। বিগত বছরগুলির তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত অনেক বেশি হওয়ায় প্রচুর কৃষক আমন চাষ করেন। কৃষিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী এবারে জেলার প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। মাথাভাঙা মহকুমায় প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে।