বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ণ বিভাগের অধ্যক্ষ সৌগত পাল বলেন, ঋতব্রত আমার অধীনেই কয়েক বছর ধরে পিএইচডি করছে। ও খুব ভালো ছেলে। অসম্ভব মেধাসম্পন্ন ও পরিশ্রমী। কোনও কিছুতে সফলতা না আসা পর্যন্ত লেগে থাকার মানসিকতা রয়েছে ওর। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ছাত্র এর আগে জার্মানির ওই নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। ঋতব্রত সেই সুযোগ পেয়েছে। আমি খুবই গর্ব অনুভব করছি। বালুরঘাটের বিশিষ্ট শিক্ষক দীপক মণ্ডল বলেন, একটা মৌলিক গবেষণায় সুযোগ পাওয়া অনেক গর্বের ব্যাপার। এই গবেষণা মানব কল্যাণে কাজে লাগবে। এছাড়া বালুরঘাটের মতো ছোট জায়গা থেকে এত বড় সুযোগ পাওয়া আগামীতে হাজার ছাত্রছাত্রীর কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
ঋতব্রতর বাড়ি বালুরঘাট শহরের সাহেব কাছারি এলাকায়। তিনি বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বালুরঘাট কলেজ থেকে রসায়ণে অনার্স করেন। এরপর গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি শেষ করে সেখানেই পিইচডি করছেন। তাঁর বিষয়, সোলার সেল ডেভেলপমেন্ট মেটেরিয়ালস। ইতিমধ্যেই দক্ষতার সঙ্গে নানা গবেষণামূলক কাজ করে তিনি সেগুলি বিভিন্ন জায়গায় জমা দিয়েছেন। আর তাতে সাড়া দিয়েই জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে গবেষণার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এ খবর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বালুরঘাট ও মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস ফ্রায়েনহিম একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর তত্ত্বাবধানেই বালুরঘাটের ঋতব্রত গবেষণা করবেন বলে জানা গিয়েছে। মূলত ওই বিভাগ সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার নানারকম সিলিকনের মেটেরিয়ালসের ডিজাইন, শক্তি, কার্যক্ষমতা, সাইজ সহ নানা উপাদান তৈরি করে। সেই উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে সোলার প্যানেল তৈরি করা হয়। জার্মানির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব নিয়েই তিনি গবেষণা করবেন। সোলার সেলের উপাদানগুলিকে কীভাবে আরও উন্নত করা যায় এবং সৌরবিদ্যুৎকে দেশের ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা আবিষ্কার করাই ঋতব্রতর মূল লক্ষ্য। তিনি নতুন আবিষ্কার করে পেটেন্ট বের করে বিভিন্ন কাজে তা লাগাতে চান।