বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ব্রাউন সুগার একজনের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সে কালিয়াচক থেকে ইংলিশবাজার বাইপাসের মোড়ে এসেছিল বলে জেরার মুখে পুলিসকে জানায়। ওই ঘটনার পর কালিয়াচকে জাল নোটের কারবারির কাছেও স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণ পুলিস এবং নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবহার করে থাকেন। তা ড্রাগ ও জাল নোট মাফিয়াদের কাছে সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় পুলিস আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। তারপর তদন্তে নেমে পুলিস অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মাদক কারবারীদের যোগসূত্র পায়।
মাদকের কারবার চালিয়ে মাফিয়ারা মোটা টাকা আয় করে। সেই টাকা অস্ত্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়। অস্ত্র বিক্রি করে পাওয়া অর্থ নানা অসামাজিক কাজে খরচ হয়। ওই ধরনের কারবারে কাঁচা টাকার স্রোত আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলে মালদহ পুলিসের দাবি। তবে তা যে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তা পুলিসকর্তারা স্বীকার করে নিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মালদহ জেলা পুলিস জালনোট এবং মাদক কারবারের পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কালিয়াচকে চার খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পর জেলা পুলিস নড়েচড়ে বসে। জেলায় বেআইনি অস্ত্র যাতে ভিন রাজ্য থেকে ঢুকতে না পারে, তারজন্য প্রতিটি থানাকে খোদ পুলিস সুপার সতর্ক করে দিয়েছেন। সেইমতো বিভিন্ন থানা এলাকায় নিয়মিত অভিযান চলছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে মাফিয়াদের মধ্যেও ভীতি ছড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে এক পুলিস আধিকারিক বলেন, অন্ধকার জগতে জড়িতদের মধ্যে ‘অম্লমধুর’ সম্পর্ক থাকে। তারা অনেক সময় নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আবার একেঅন্যের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। মাদক কারবারে কাঁচা টাকার স্রোত বেশি। কম দামে কাঁচামাল কিনে লক্ষ লক্ষ টাকায় মাদক বিক্রি হয়। মাদকাসক্তদের মধ্যে চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়তেই থাকে। মাদক কারবারে পাওয়া টাকা অস্ত্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে মাফিয়াদের অনেক সুবিধা হয়। অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে রাজনীতির কারবারীরাও যুক্ত থাকে। ফলে সহজেই রাজনীতির লোকেদের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ মেলে তাদের। পাশাপাশি নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করতেও অসুবিধা হয় না। তাছাড়া পুলিসের তাড়া খেয়ে অনেকে সময় মাদক পাচারকারীরা আত্মগোপন করে থাকে। ওইসময় অস্ত্র ব্যবসা চালানোর ‘ধান্দা’ শুরু করে তারা। তাই দুই কারবারে জড়িতদের মধ্যে দিনদিন ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে জালনোটের কারবারীরাও মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণে পুলিসকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হচ্ছে বলে ওই অফিসার জানান।