বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার সাগরদিঘির জন্য ছ’কোটিরও বেশি এবং বৈরাগীদিঘির জন্য পাঁচ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় দিঘির পাড়ে রাস্তা নির্মাণ, ওই রাস্তায় পেভার ব্লক বসানো, রাস্তার একদিকে নিকাশি নালা প্রভৃতি করা হবে। এছাড়াও আলো ও সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি সীমানা পাঁচিল নির্মাণ, পার্ক বানানো, সবুজায়ন বৃদ্ধি করা হবে। কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে। এই কাজ তারই একটি অংশ বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাডিয়ান বলেন, শহরের অন্যতম বড় দু’টি জলাশয় সাগরদিঘি ও বৈরাগীদিঘির চারপাশ সংস্কার করা হবে। এ জন্য রাজ্য থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যেই কাজ শুরু হবে। কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির সদস্য তথা বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক দেবব্রত চাকি বলেন, সাগরদিঘি ও বৈরাগীদিঘির সংস্কার, সৌন্দর্যায়ন হলে পর্যটনের ক্ষেত্রে শহরের জৌলুস আরও বৃদ্ধি পাবে। সরকারি এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। একইভাবে শহরের অন্যান্য দিঘিগুলির দিকেও প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। কোচবিহারের সাগরদিঘি ও বৈরাগীর চারপাশে রঙিন পেভার ব্লক বসিয়ে রাস্তা করা হবে। দিঘি দু’টিতে যে ঘাটগুলি রয়েছে, সেগুলি সংস্কার করা হবে। দিঘির পাড়ে বসার জন্য জায়গা বানানো হবে। চারদিক আলোকিত করার জন্য বাতি স্মম্ভ হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে এই কাজ হবে। প্রথম দফার বেশকিছু কাজের টেন্ডার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি মাসেই ওই দুই ঐতিহ্যবাহী দিঘি ঘিরে নেওয়া সরকারি উদ্যোগ শুরু হয়ে যাবে।
তবে কাজ শুরুর আগে জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে ভালোভাবে আলোচনা করে নিতে চাইছে। ওই এজেন্সি এসে তাদের কাজের ‘প্রেজেন্টেশন’ জেলা প্রশাসনের কাছে দেবে। সেই বৈঠকও এর মধ্যেই হবে। আর সেটি হয়ে গেলেই কাজটি শুরু হয়ে যাবে। দেশ-বিদেশ থেকে যেসমস্ত পর্যটক কোচবিহার শহরে আসেন, তাঁদের ভ্রমণ তালিকায় প্রথমেই থাকে কোচবিহার রাজবাড়ি। আর তারপরই থাকে মদনমোহন মন্দির ও সাগরদিঘি। রাজবাড়ি থেকে সামান্য দূরেই সাগরদিঘি। এই দিঘির পাশে রয়েছে জেলাশাসকের অফিস, আদালত, মহকুমা শাসক, পুলিস সুপারের অফিস, পুরসভা সহ আরও কয়েকটি সরকারি অফিস। মদনমোহন মন্দিরের মূল গেটের উল্টো দিকেই রয়েছে বৈরাগীদিঘি। মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার আগে অনেকেই বৈরাগী দিঘিতে আসেন। এই দুই দিঘির চারপাশ ঘিরেই একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে। কোচবিহারের ১৫৫টি জায়গাকে চিহ্নিত করে তার তালিকাও তৈরি হয়েছে। তাই হেরিটেজ শহর হিসেবে কোচবিহার শহরকে সাজিয়ে তোলার জন্য ধাপে ধাপে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসেবে সাগরদিঘি ও বৈরাগীদিঘিকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। প্রথম দফায় কিছু কাজ হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু কাজ হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।