বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু গত ২৪ ঘণ্টায় পরপর দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, জেলায় আপাতত পাঁচটি ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৬টি জায়গায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট এবং কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত হয়েছে। এরমধ্যে জেলা সদর ও নাগরাকাটা ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েত এলাকার ছ’টি জায়গায় মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। বাকি তিনটি ব্লক রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি, মালের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি জায়গায় কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
এরমধ্যে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনগুলি হল, অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোমস্তাপাড়া, বেলাকোবা পঞ্চায়েতের জুড়াবান্দা, খড়িয়ায় জগন্নাথ কলোনি, পাহাড়পুরের জমিদারপাড়া, সুলকাপাড়ায় সুখানিবস্তি, চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েতে ভগৎপুর (ফ্যাক্টরি লাইন, মন্দির লাইন) এলাকা। কন্টেইনমেন্ট জোন হয়েছে, ময়নাগুড়িতে তিনটি, ওদলাবাড়ি ও সুখানিতে দু’টি করে জায়গায়, বিন্নাগুড়ি, পানিকৌড়ি ও খাগড়াবাড়িতে একটি করে জায়গা। জেলাশাসক বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে ওই সব এলাকায় প্রয়োজনীয় নজরদারি রাখতে। যাতে কেউ অযথা ওই অঞ্চলগুলিতে ঘোরাঘুরি না করে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসন নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে ওই জোনগুলিতে নজরদারি শুরু করবে। একইসঙ্গে পুলিস ও স্বাস্থ্য দপ্তরকেও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। যাতে আক্রান্তদের চিকিৎসা হয়। হোম আইসোলেশনে থাকাকালীন সংক্রামিতদের পরিবার জরুরি পরিষেবা পায়। তারজন্য মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও ও থানার ওসিদের নম্বর লেখা ডিসপ্লে বোর্ড লাগাতে বলা হয়েছে। ওই নম্বরে টেলিফোন করলে প্রয়োজনীয় পরিষেবা সংক্রামিতরা পেতে পারেন। মানুষকে সজাগ করতে সংশ্লিষ্ট জোনগুলিতে মাইকিং করা হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মাল ও ধূপগুড়ি ব্লকে সংক্রমণ কিছুটা কমছে। জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকাতে এখনও খানিক সংক্রমণ আছে। উল্লেখ্য, বুধবার জেলায় ২৩৪ জন আক্রান্ত হন। এরমধ্যে শহরে সংক্রমিতের সংখ্যা ৯৮ জন। যদিও বৃহস্পতিবার পুরসভা এলাকায় সংক্রমণ প্রায় অর্ধেক হয়, ৪৬ হন। জলপাইগুড়ি শহরে সংক্রমণ বাগে আনতে জেলাশাসক এদিন আরও বলেন, প্রয়োজন হলে পুর এলাকায় নজরদারির জন্য কয়েকজন আধিকারিক নিযুক্ত করা হতে পারে। যাঁরা রোটেশন অনুযায়ী সকাল, দুপুর এবং সন্ধ্যায় নজরদারির ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন।