একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
পূর্ব রেলের মালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার যতেন্দ্র কুমার বুধবার বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বর মাস থেকে আন্ডারপাস চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তারপরেও সামগ্রিকভাবে আরও চার থেকে পাঁচ মাস লেগে যাবে ওই আন্ডারপাস জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দিতে।
উল্লেখ্য, রথবাড়ি ইংলিশবাজারের ব্যস্ততম এলাকা। শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যে থাকা রথবাড়ির বুক চিরে চলে গিয়েছে রেললাইন। দু’প্রান্তের নাগরিকদের যাতায়াতের কারণে রথবাড়ি রেল ক্রসিংয়ে অনেক আগে থেকেই প্রবল যানজট হতো। শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানের জন্য নব্বইয়ের দশকে পরিকল্পনা করা হয় একটি ফ্লাইওভারের। তবে তারপরেও অসংখ্য মানুষ পায়ে হেঁটে বা যানবাহন নিয়ে রেলগেট পার করে যাতায়াত করেন। কিন্তু আন্ডারপাস তৈরির কারণে বন্ধ ওই রাস্তা। ফলে একমাত্র ভরসা ফ্লাইওভার।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রথবাড়ি এলাকায় নিত্যদিনের প্রবল যানজট এবং রেল ক্রসিংয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার সমস্যা মেটাতেই এই আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কাজ শেষ হয়ে গেলে মালদহ শহরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের বাসিন্দাদের রথবাড়ি হয়ে যাতায়াতের সমস্যা বহুলাংশে মিটে যাবে।
কিন্তু প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এলাকার অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনা করে এই কাজে গতি আনা উচিত ছিল রেল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উল্টে বলা হচ্ছে কাজ শেষ হতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে। নিজেদের ক্ষোভ ও বিরক্তি গোপন রাখতে পারেননি তাঁদের অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ ঘোষ বলেন, গত বছর লকডাউনের আগে থেকেই কাজ হচ্ছে। রেল অনেক সময় পেয়েছে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এখনও বন্ধ। মানুষ চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের উচিত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ সেরে এই আন্ডারপাস নাগরিকদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া। ওই এলাকার অনেক ছোট ব্যবসায়ীদেরও একই অভিমত।
তাঁরা বলেন, আন্ডারপাস তৈরিতে যত বেশি সময় লাগছে ততই সমস্যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ব্যবসাও মার খাচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ আরও তৎপর হয়ে এই কাজ শেষ করুক।