একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভোট হয়। ভোটে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা আটটি এবং তৃণমূল ও কংগ্রেস উভয়ই ছ’টি করে ওয়ার্ড পায়। দীপ্তবাবু তখন কংগ্রেসে ছিলেন। দীপ্তবাবু ছাড়াও কংগ্রেসের ছ’জন কাউন্সিলারের মধ্যে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রুমা চট্টোপাধ্যয় ও শ্যালক শান্তনু ভৌমিক। এরপর বোর্ড গঠনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে পুরসভায় বোর্ড গঠন করে বামেরা।
বামেদের বোর্ড গঠনের একবছর পর ২০১৪ সালে দীপ্তবাবু সহ কংগ্রেসের ছ’জন কাউন্সিলরই শাসক দল তৃণমূলে যোগ দেন। বিনিময়ে তৃণমূলের তৎকালীন জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলীয় চুক্তি অনুসারে ঠিক হয় প্রথম একবছর চেয়ারম্যান হবেন আশিসবাবু ও পরের তিনবছর চেয়ারম্যান থাকবেন দীপ্তবাবু। দীপ্তবাবুর অনুগামীদের অভিযোগ, আশিসবাবু সেই চুক্তিই পরবর্তীতে মানেননি।
আশিসবাবু ইতিমধ্যে দল ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী যে দলে যাবেন তিনিও সেই দলে যাবেন। যদিও বুধবার আশিসবাবুর বিষয়ে নরম মনোভাব নিয়ে দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানিয়েছিলেন, দল কাউকেই হারাতে চায় না। কিন্তু আশিসবাবুর বিষয়ে দলের টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্তবাবু এতদিন চুপচাপ ছিলেন। বৃহস্পতিবারই প্রথম শহরের ভাঙাপুলে দলের টাউন ব্লক অফিসে দীপ্তবাবু সংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালে পুরসভার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আশিসবাবু লিখিত চুক্তি ভঙ্গ করেছিলেন। চুক্তি ভাঙলেও আমি ওঁর বিরুদ্ধে দলের কাছে বা সংবাদমাধ্যমে এতদিন কোনও অভিযোগ করিনি। দলও সেটা ভালো করে জানে। উনি চুক্তি রক্ষা করেননি। আজ দলের সমালোচনা করে দল ছাড়ার কথা বলছেন। আশিসবাবু দল ছেড়ে গেলেও দলের তাতে কিছু যায় আসে না। পুরভোটের এখনও অনেক দেরি আছে। পরের পুরভোটে দল জিতলে দলই ঠিক করবে কে পুরসভার চেয়ারম্যান হবে। ফলে আমাকে চেয়ারম্যান করে দল পরের পুরভোট লড়বে এটা ঠিক নয়।
দীপ্তবাবুর অভিযোগকে নস্যাত করে আশিসবাবুর পাল্টা দাবি, পুরসভার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। কেন না এ ধরনের কোনও চুক্তিই হয়নি।