বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সংগঠনের দাবি, সারা জেলায় প্রায় ৬০০ জন জমিদাতা আছেন। যাঁরা নানা সময়ে তিস্তা সেচ প্রকল্প, সার্কিট বেঞ্চ, ফাটাপুকুরের মেগা প্রজেক্ট তৈরির জন্য জমি দিয়েছিলেন। সেই সময় যাঁরা জমি দিয়েছিলেন তাঁদের অনেকের চাকরির বয়স সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এই চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স সীমা যেন না রাখা হয় সেই দাবিও জানানো হয়। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে ও মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা ল্যান্ডলুজার কমিটির সভাপতি নজরুল রহমান বলেন, সারা জেলায় এই রকম প্রায় ৬০০ জন জমিদাতা রয়েছেন। ১৯৮২-৮৩, ১৯৮৯-৯০ ও পরবর্তীতে ২০০৬ সালেও তাঁদের কাছ থেকে জমি নেওয়া হয়েছে। বাম জমানায় এই সমস্ত জমি নেওয়া হয়েছিল। তার জন্য আংশিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে পরিবারের অন্তত একজন করে শিক্ষিত সদস্যকে সরকারি চাকরি প্রদান করা হবে। সেই মতো আমাদের ল্যান্ড লুজার কার্ডও তৈরি হয়। বাম সরকারের আমলে আমাদের অনেকের চাকরি হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে একজনেরও চাকরি হয়নি। আমরা চাকরির দাবিতে এর আগে অনশন করেছিলাম। সেসময় অনেকেই এসে আমাদের কাছে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই এদিন আমার জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে গণ স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তিনি না থাকায় সহ সভাপতি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, এদিন ল্যান্ডলুজারদের স্মারকলিপি আমি গ্রহণ করেছি। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও আমরা বিষয়টি জানাব।
এদিন ল্যান্ডলুজারদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাই দ্রুত তাঁদের চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। জেলায় যে কোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া সহ একাধিক দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনের দাবি, ইতিপূর্বে তাঁরা ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আমরণ অনশনে শামিল হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক নেতা। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই এবার তাঁরা আবার স্মারকলিপি প্রদান করলেন। এরপরেও চাকরি না হলে তাঁরা বড় আন্দোলনে নামবেন।