বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি থানার চন্দনচৌরার দিঘারপুলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। শিলিগুড়িগামী একটি ভলভো বাসের সঙ্গে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে আসা গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত সিএইচও’র নাম অর্পিতা দাস (৪০), গাড়ির ড্রাইভার শ্রীবাস রায় (২৫)। মৃতা সিএইচও’র পরিবার ও সহকর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর জন্মদিন ছিল। মারাত্মক জখম অবস্থায় কোচবিহার-১’র বিএমওএইচ ডাঃ সুশীলকুমার মণ্ডল এবং অপর সিওএইচ টুম্পা রায়বক্সিকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁদের কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিস। তবে দুর্ঘটনার পরই ওই বাসের চালক পালিয়ে যায়। এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাডিয়ান, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রঞ্জিত ঘোষ নার্সিংহোমে গিয়ে জখমদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আমাদের বিএমওএইচ সহ স্থাস্থ্যকর্মীরা একই গাড়িতে ফিরছিলেন। দিঘারপুলের কাছে জাতীয় সড়কে একটি বাসের সঙ্গে তাঁদের গাড়িটির ধাক্কা লাগে। একজন সিএইচও ঘটনাস্থলেই মারা যান। গাড়ির ড্রাইভারেরও মৃত্যু হয়েছে। আহতরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ওঁরা স্বাস্থ্যদপ্তরের রুটিন কাজ করে ফিরছিলেন।
মৃত সিএইচও’র ভগ্নিপতি অমলকুমার মণ্ডল ঘটনার খবর পেয়ে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে চলে আসেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারছি না। আজ দিদির জন্মদিন ছিল। সেই জন্য বাড়িতে আমরা আয়োজনও করেছিলাম। ভেবেছিলাম, সকলে মিলে আনন্দ করব। ওঁর ছোট দু’টি মেয়ে রয়েছে। সব শেষ হয়ে গেল। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে ওই গাড়িতে চেপে স্বাস্থ্যকর্মীরা পাতলাখাওয়া থেকে কোচবিহারে ফিরছিলেন। সন্দেহজনক কোভিড রোগীদের সোয়াব পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ সেরে তাঁরা আসছিলেন। সেইসময় কোচবিহারের দিক থেকে একটি ভলভো বাস শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। জাতীয় সড়কে দু’টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গাড়িটির ছাদ উড়ে যায়। তবে বাসে থাকা যাত্রীদের সেভাবে আঘাত লাগেনি। দুর্ঘটনার বিকট আওয়াজে এবং বাসযাত্রীদের চিৎকার চেঁচামেচিতে রাস্তার পাশের বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। তাঁরাই প্রথমে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পুণ্ডিবাড়ি থানা থেকে পুলিস ভ্যান ঘটনাস্থলে আসে। খবর পেয়ে কোচবিহারের ডিএসপি (ট্রাফিক) চন্দন দাসও চলে আসেন। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। অর্পিতাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামীর নাম বিপ্লব দাস। তিনি কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর। বাবুরহাটের বাসিন্দা ছিলেন মৃত সিএইচও। মৃত গাড়িচালকের বাড়ি শীতলিপাটে। নিজস্ব চিত্র