বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা যুব কংগ্রেসের উপদেষ্টা তথা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর অম্লান মুন্সি বলেন, পুরসভায় স্যানিটাইজার মেশিনের সংখ্যা আগে ছিল আটটি। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, সাতটিই নষ্ট হয়ে আছে। যে একটি আছে তা দিয়ে প্রতিদিন ২৫-৩০টি বাড়ি স্যানিটাইজ করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। যেসব মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে, সেগুলিকে ঠিক করারও কোনও উদ্যোগ পুরসভার দেখছি না। একমাস ধরে এখানে একটি মেশিন দিয়ে স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য সন্দীপ মাহাত বলেন, বিরোধীদের কাছে তথ্য ঠিক নেই। পুরসভার চারটি মেশিন কয়েকদিন হল বিকল হয়ে আছে। সেগুলি ঠিক করতে শিলিগুড়িতে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সেসব চলে আসবে। মাঝে কালীপুজো, ছটপুজোর জন্য বন্ধ ছিল। সোমবারই পুরসভা খুলেছে। এরমধ্যে শহরে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তার তালিকা পুরসভায় এসেছে। সেই সব জায়গায় গিয়ে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়েছে। যন্ত্র খারাপ হতেই পারে। আমাদের কাছে এখনও যতগুলি স্যানিটাইজার মেশিন আছে তা দিয়ে কাজ চলছে। কোথাও স্যানিটাইজেশনের কাজ থমকে নেই। আমাদের কাছে খবর এলেই সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকেই জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু করে পুরসভা। তারজন্য মোট আটটি স্যানিটাইজার মেশিন পুরসভার হাতে ছিল। ওই মেশিনগুলি দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার বাড়ি, রাস্তা প্রয়োজন অনুসারে স্যানিটাইজ করছিল পুরসভা। বেশ কয়েকদিনই ধরে ওই আটটি মেশিনের মধ্যে চারটি মেশিন বিকল হয়ে রয়েছে বলে পুরসভা স্বীকারও করে নিয়েছে। ফলে হাতে থাকা বাকি চারটি মেশিন দিয়েই পুরসভাকে কাজ চালাতে হচ্ছে।
জলপাইগুড়ি শহরে মোট ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। বিস্তীর্ণ এই এলাকায় মাত্র চারটি মেশিন দিয়ে কাজ চালানো দুষ্কর বলে মনে করছে বিরোধী সহ ওয়াকিবহাল মহল। পুরসভার দাবি, সাতদিন আগে ওই মেশিনগুলি খারাপ হয়ে যায়। মাঝে কিছুদিন পুরসভা বন্ধ ছিল। এবার ঠিক করতে দেওয়া মেশিনগুলি নিয়ে এসে আবার সেগুলিকে কাজে লাগানো হবে।