একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন ফরেন্সিক দলের এক সদস্য বলেন, সবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলার সময় আসেনি। তবে প্রাথমিকভাবে মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করেছি। কোনও রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ মিলেছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মেশিনের ঘর্ষণ কমাতে বিভিন্ন ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ ব্যবহৃত হয়। তা মেশিনের সঙ্গে লেগেই থাকে। এই বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি। শীঘ্রই আমরা রিপোর্ট প্রকাশ করব।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সুজাপুরের ওই প্লাস্টিক কারখানায় মেশিন ফেটে ছ’জনের মৃত্যু হয়। আরও ছ’জন শ্রমিক গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও ঘটনার সঙ্গে বোমা বা অন্য কোনও বিস্ফোরকের যোগ নেই বলে পুলিস এবং রাজ্য সরকার আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে, শুক্রবার রাতে ফরেন্সিক দলের সদস্যরা মালদহে পৌঁছন। তাঁদের সুবিধার্থে জেলা পুলিসের তরফে ঘটনাস্থলে আলোর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। ওইদিন রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ফরেন্সিক দল একদফা নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন দুপুরে তাঁরা ফের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে মালদহের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা ছিলেন। নমুনা সংগ্রহ দেখতে বহু মানুষ এলাকায় ভিড় জমান। নমুনা সংগ্রহের পর ফরেন্সিক দলের সদস্যরা কিছু নমুনা ঘটনাস্থলেই পরীক্ষা করতে যান। ওই সময় ফেটে যাওয়ার মেশিনের ছড়িয়ে থাকা যন্ত্রাংশ তাঁরা একত্রিত করেন। পরীক্ষা করার সময় যন্ত্রাংশে আগুন ধরে যায়। তাতে ফরেন্সিক দলের এক সদস্যের পিপিই কিছুটা পুড়ে যায়। যন্ত্রাংশ থেকে বের হওয়া সাদা ধোঁয়ায় ঘটনাস্থল ঢেকে যায়। ধোঁয়া দেখে ফের এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। বিস্ফোরণের স্মৃতি ফের স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে জেগে ওঠে। ফলে অনেকেই ছোটাছুটি শুরু করেন।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার বলেন, এদিন নতুন করে কোনও বিস্ফোরণ হয়নি। নমুনা সংগ্রহের পর ফরেন্সিক দলের সদস্যরা তা পরীক্ষা করছিলেন। নিজেদের পদ্ধতিতে তাঁরা তা পরীক্ষা করে দেখছিলেন। কীভাবে মেশিন ফেটে এতবড় ঘটনা ঘটতে পারে তা আন্দাজ করতেই ঘটনাস্থলে বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। তখন যন্ত্রাংশে আগুন ধরে গিয়ে ধোঁয়া বের হয়। এই ঘটনার জেরে সাময়িক সমস্যা হলেও দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।