বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হেমতাবাদের ঘটনায় মৃতার নাম নোসেবা নাজনিন (২০) বলে পুলিস জানিয়েছে। মাত্র নয় মাস আগে নোসেবার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় নগদ তিন লক্ষ টাকা পণ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। ওই পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই অতিরিক্ত টাকা চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নোসেবার উপর চাপ দিতে শুরু করে। শ্বশুরবাড়ির দাবি ছিল, আরও দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। টাকা চেয়ে চাপ দিয়ে তাঁর উপর মাঝেমধ্যেই অত্যাচার চলত। শেষমেষ পণের দাবিতেই তাদের মেয়েকে জোর করে কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে খুন করা হয়েছে বলে মৃতার পরিবারের অভিযোগ।
গত রবিবার ওই মহিলাকে অ্যাসিড খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তারা অবশ্য বধূকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি হেমতাবাদে এবং বাপেরবাড়ি বামনগ্রাম এলাকায়। বাপেরবাড়ির দাবি, বধূ অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁর উপর অত্যাচারের মাত্রা কমাননি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মৃতার স্বামী আব্দুল সামাদ সহ শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিস। ওই বধূর বাবা আবদুল ওয়াহাব বলেন, বিয়ের সময় তিন লক্ষ টাকা পণ নিয়েছিল। বিয়ের পর এক বছরও কাটেনি, আরও দু’লক্ষ টাকা দাবি করে জামাই। সেই টাকা নিয়ে আসার জন্য মেয়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল। মেয়ে রাজি না হওয়ার শেষ পর্যন্ত তাকে কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে খুন করল। জামাই সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সব সদস্যের চরম শাস্তি চাইছি। এদিকে, হেমতাবাদ থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
করণদিঘির ঘটনায় মৃতার নাম কদবানু বিবি (৩৪) বলে পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। করণদিঘির পশ্চিম কেশবপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী জোহার আলিকে ইতিমধ্যে আটকও করেছে করণদিঘি থানার পুলিস। সেইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর হল তাঁদের বিয়ে হয়েছে। সম্প্রতি বারবার অতিরিক্ত পণের দাবি করছিল জামাই। এছাড়াও অভিযুক্ত স্বামীর অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই কারণেই পথের কাঁটা হয়ে উঠছিলেন তাঁর স্ত্রী। একদিকে পণের টাকা না পাওয়া, অন্যদিকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্যই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে মৃতার দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর প্রতিবেশীরা খবর দেন ওই বধূর পরিবারকে। এরপরই তাঁরা সোজাসুজি করণদিঘি থানায় গিয়ে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। দুই বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে সম্ভাব্য সব কারণই খতিয়ে দেখছে পুলিস।