বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শিলিগুড়ির সমস্ত দুর্গাপুজো উদ্যোক্তা। স্থানীয় দেশবন্ধুপাড়ার সুব্রত সঙ্ঘের পুজো এবার ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটির সম্পাদক পার্থ সাহা বলেন, হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। হায়দরপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য নিমাই পাল বলেন, আমরা মণ্ডপ তৈরির সময় থেকেই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলছি। নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যারিকেড বসানো হচ্ছে। অপর বিগবাজেটের পুজো করে গেটবাজারের সেন্ট্রাল কলোনি দুর্গাপুজো কমিটি। তারা জানিয়েছে, অনলাইনে পুজো দেখানোর চেষ্টা চলছে।
জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের নিয়ম যাতে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়, প্রশাসন সেদিকে নজর রাখবে। পুজো মণ্ডপগুলি ঘুরে দেখা হচ্ছে। পুজোর দিনগুলিতে পুলিস বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে থাকবে।
করোনা আবহে এবার পুজো উপলক্ষে আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরের বিগবাজেটের পুজো কমিটিগুলি। মণ্ডপগুলির সমানে নো এন্ট্রি জোন সংক্রন্ত বোর্ড লেখা হচ্ছে। কয়েকটি মণ্ডপে ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। দিশারী ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ মিত্র বলেন, আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। কাউকেই ভিতরে আসতে দেওয়া হবে না। রাস্তা থেকে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। রায়কতপাড়া বারোয়ারি ক্লাবের সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাঠে পুজো হচ্ছে। মাঠের প্রবেশের গেটে বন্ধ থাকবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুজো দেখার বন্দোবস্ত থাকবে। কদমতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সদস্যদের নামের তালিকা ফ্লেক্সে ছাপাতে দেওয়া হচ্ছে। ব্যারিকেডে নো এন্ট্রি বোর্ড লাগানো থাকবে। মণ্ডপে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করব।
হাইকোর্টের নির্দেশের পাওয়ার পর কোচবিহারের বিভিন্ন ক্লাব তাদের পুজো মণ্ডপের সামনে ব্যারিকেড বসানোর কাজ শুরু করেছে। এবারে জেলায় সবচেয়ে বেশি বাজেট নিয়ে পুজো করছে দিনহাটার গোসানিমারি কামতেশ্বরী ক্লাব। এদের বাজেট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ‘নারী প্রবাহ’ থিমকে সামনে রেখে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে দর্শনার্থীরা মণ্ডপের ভিতরের সূক্ষ্ম কারুকাজ দেখতে পারবেন না। একটি প্রতিমা মণ্ডপের বাইরে রাখা হবে। দর্শনার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ করা হবে। কোচবিহার শহরের ঘোষপাড়া ইয়ুথ ক্লাব ইতিমধ্যেই মণ্ডপের ভিতরে ব্যারিকেড দিয়ে দিয়েছে।
এখানে ক্লাবের স্থায়ী মণ্ডপে পুজো হয়। প্রতিমা থেকে ১০ ফুট দূরত্বে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। গুড়িয়াহাটি ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন পুজোর ক’দিন ক্লাবের গেট বন্ধ থাকবে। আলিপুরদুয়ারের উপলমুখর ক্লাবের সম্পাদক বিষ্ণু ভৌমিক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করার প্রশ্নই উঠে না।
যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখেই মণ্ডপের সামনে ব্যারিকেড করে দিয়েছি। মিলন সঙ্ঘের সম্পাদক তুলসী রায় বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির রবীন্দ্রনগর এলাকায় একটি পুজো মণ্ডপের সামনে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র