বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, রাজ্যের তরফে আমাদের কাছে যে নির্দেশ আসে সেইমতো আমরা ধান ক্রয় করি। লক্ষমাত্রা পূরণ অবশ্যই হবে। তবে বোরো ধান না কেনার একটাই কারণ এই ধান থেকে যে চাল হয় তা রেশনে দেওয়া যায় না। সে কারণে এই ধান আমরা কিনি না। কয়েক বছর আগে বোরো ধান কেনা হতো। রাজ্য থেকে নতুন করে নির্দেশ এলে অবশ্যই আমরা বোরো ধান কিনব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্যদপ্তরের কাছে এবছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ মেট্রিক টন। এই লক্ষ্যমাত্রা ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে পূরণ করতে হবে। ইতিমধ্যে ৯০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এই ৯০ হাজার মেট্রিক টন গত বছর আমন ধানের মরশুমে কেনা হয়েছিল। নতুন করে এই বছর বোরো ধানের মরশুমে জেলার কিষাণ মাণ্ডিগুলিতে ধান কেনা চালু করে দপ্তর। ধান কেনা চালু করলেও কৃষকরা ধান বিক্রি করতে আসেননি বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েক জন ফড়ে নিজেদের মজুত ধান কৃষকের নামে কার্ড করে বিক্রি করেন। খাদ্যদপ্তরের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বোরো ধান তারা কিনবে না। তারা মূলত আমন জাতের ধান ক্রয় করবে। ফলে অধিকাংশ কৃষকের কাছে আমন ধান না থাকায় সরকারের ১৮৩৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল সহায়ক মূল্যে কেউ বিক্রি করতে পারেননি। এই নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে ফড়ের কাছে ১৩০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দলে ধান বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সূত্রের খবর, একাধিক জেলায় কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান ক্রয় করা হয়। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরে ক্ষেত্রে এমন কেন নিয়ম তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ফলে বর্তমানে ফাঁকাই পড়ে রয়েছে কিষাণ মাণ্ডিগুলির ধান ক্রয় কেন্দ্র। উপায় না ভেবে বাধ্য হয়ে ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলি তুলে নিয়েছে খাদ্যদপ্তর।