বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রথম দিকে করোনার থাবা ছিল না। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি গৌড়বঙ্গেও যখন করোনা থাবা বসিয়েছে, তখনও বেশ কিছু দিন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য ছিল। পরিযায়ী শ্রমিকরা জেলায় ফিরতে শুরু করার পর থেকে করোনা থাবা বসায়। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্নাটক সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক আসার পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা। খোদ অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) করোনায় আক্রান্ত হন। পুলিস কর্মীদের মধ্যেও করোনা ভাইরাস ছড়ায়। জেলার নয়টি ব্লকের বহু সাধারণ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। তবে গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরগুলিতে করোনার প্রকোপ বেশি দেখা যায়। জেলা সদর শহর রায়গঞ্জে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। তবে তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
উত্তর দিনাজপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, সুস্থতার সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় দুটি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। একটি রায়গঞ্জে, অন্যটি ইসলামপুরে। দুই হাসপাতালেই সুচিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা। ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন আক্রান্তরা। আগামী দিনে সুস্থতার সংখ্যা আরও বাড়বে। করোনা ঠেকাতে রায়গঞ্জ পুরসভা দুই দফায় লকডাউনের কড়া পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। পুরসভার তরফে প্রচার চালানো হয়। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে মাঠে নামে পুলিসও। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, পুরসভার তরফে লকডাউন জারি করে ভাইরাসের চেনটাকে ব্রেক করা হয়েছে। তাতে সুফল মিলেছে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিস প্রশাসনের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাকে অনেকটাই ঠেকানো গেছে। আগামী দিনে করোনার মোকাবিলায় এভাবেই পুরসভা পদক্ষেপ নেবে। শহরবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে পুরসভা ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
চলতি মাসের ৫ ও ৮ আগস্ট কড়া লকডাউন জারি ছিল। রাজ্য প্রশাসনের ডাক দেওয়া এই লকডাউনে জেলাবাসী সাড়া দিয়েছে। ওই দুই দিন গৃহবন্দি থেকেছেন জেলাবাসী। আগামী দিনের লকডাউন গুলিতেও জেলাবাসী সাড়া দেবেন বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে অন্যান্য দিনগুলিতে কিন্তু বাজার হাট বা রাস্তায় উপচে পড়ছে ভিড়। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার বালাই নেই বললেই চলে। একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেকের অনীহা চোখে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য প্রচার চলছে। কেউ এই আইন অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।