উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের দক্ষিণ দেশবন্ধুপাড়ায় ওই বৃদ্ধা বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ ধরা পড়ায় বৃদ্ধার মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সহযোগিতায় বৃদ্ধার ছেলেরা বৃহস্পতিবার ভোরে মৃতদেহ সৎকার করেন। এই অবস্থায় এদিন সকালে পুর কর্তৃপক্ষ প্রথমে বৃদ্ধার বাড়ি স্যানিটাইজ করে। তারপর বাড়ির গেটে রিবন লাগানো হয়। পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যদের জানানো হয় বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
মৃতার তিন ছেলের মধ্যে গৌতম দাস বলেন, মা’র বয়স হয়ে ছিল ৭০। তাঁর হার্টের সমস্যা ছিল। গত ১ আগস্ট তিনি শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন। ২ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ হলে তাঁকে শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। দু’দিন পর সেখানে তাঁর সোয়াব টেস্ট করা হয়। টেস্ট রিপোর্ট আসার আগেই ৪ আগস্ট তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ৫ আগস্ট সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সোয়াব টেস্টে করোনা নেগেটিভ হয়েছে বলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পাশাপাশি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। এরপরও মাকে কেন কোভিড পজিটিভ বলা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরে রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই বাড়িটি কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এখানে পুরসভার কোনও ত্রুটি নেই।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা শোনার পর ঘটনাস্থলে যান পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের দলনেতা তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার। তিনি পুরসভা, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরে সঙ্গে কথা বলার পর সমস্যা মেটান। তিনি বলেন, ওই বৃদ্ধার সোয়াব টেস্ট প্রথমে একটি বেসরকারি সংস্থায় করানো হয়। ওই সংস্থা রিপোর্ট অনেক দেরিতে প্রকাশ করেছে। ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওই বাড়িটিকে ডি-কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
যে যাই বলুক না কেন এঘটনার পর শিলিগুড়িতে কোভিড মোকাবিলার ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। কয়েকদিন আগে শহরের কলেজপাড়ার এক ব্যবসায়ী বেসরকারি সংস্থায় সোয়াব টেস্ট করান। সেই রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার তিন দিন পর তাঁর খোঁজ খবর নেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। বেসরকারি সংস্থায় করা ওই বৃদ্ধার সোয়াব টেস্টের রিপোর্টও তিন দিন পর প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, বেসরকারি সংস্থা সময়মতো টেস্ট রিপোর্ট পাঠাচ্ছে না। এজন্যই এমন সমস্যা হচ্ছে। এব্যাপারে জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ তুলসী প্রামাণিক অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি (সমতল) বলেন, এখানে স্বাস্থ্যদপ্তরের কোনও ভুল নেই। তবে ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বেসরকারি সংস্থাগুলিকে দ্রুততার সঙ্গে টেস্ট রিপোর্ট স্বাস্থ্যদপ্তরে পাঠানোর অনুরোধ করছি।