উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
কৃতী ছাত্রের বাড়ি রায়গঞ্জ শহরের অশোক পল্লীতে। মাধ্যমিক পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেছেন রায়গঞ্জ সারদা বিদ্যামন্দিরে। মাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। তারপর ঝাড়খণ্ডের দেওঘর রামকৃষ্ণ মিশনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন। উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। সর্বভারতীয় ও রাজ্যস্তরের নানা পরীক্ষা দিয়েছেন সৌরদীপ। রাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টও দিয়েছিলেন। শুক্রবার দুপুরে রাজ্যে প্রথম হওয়ার খবর প্রথম টিভিতেই জানতে পারেন তিনি।
সিলেবাস খুঁটিয়ে পড়া। গড়ে দিনে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষকরা বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন। মিশনের হস্টেলে থাকতেন সৌরদীপ। হস্টেলের শিক্ষকরা নিয়মিত আসতেন। লকডাউনের কারণে হস্টেল ছেড়ে রায়গঞ্জ শহরের বাড়িতে চলে আসতে হয়েছে তাঁকে। গণিত ও পদার্থবিদ্যা তাঁর প্রিয় বিষয়। ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্টে প্রথম হলেও গবেষণাতেই মন সৌরদীপের। আপাতত তিনি আইআইটি বা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের মতো কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক। ভবিষ্যতে তিনি একজন বিজ্ঞানী হতে চান। নতুন কিছু আবিষ্কার করে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান। নতুন কি আবিষ্কার করবেন? সৌরদীপ বলেন, গবেষণা করতে করতে কোনও বিষয়ের গভীরে পৌঁছতে পারব। তারপর নতুন কিছু আবিষ্কার। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
সৌরদীপের বাবা বলেন, ছেলে ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞান বিষয়ক বই পড়তে ভালোবাসে। গল্পের বইও পড়ে। বই পেলে আর কিছু চায় না। বিজ্ঞান মেধা বা এই ধরণের নানা পরীক্ষায় বসা ছেলের নেশা। এবছর সর্বভারতীয় স্তরের নানা পরীক্ষায় বসেছে। তবে ও গবেষণা করতে চায়। চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হোক, আমরাও চাইনি। ও নিজের ইচ্ছায় রিসার্চ করতে চায়। আমরা কোনও কিছু চাপিয়ে দিইনি। ছেলে জয়েন্টে ভাল রেজাল্ট করবে জানতাম। তবে রাজ্যে প্রথম হবে, এটা অপ্রত্যাশিত। মা ফুলটুসি দাস সাধারণ গৃহবধূ। তিনিও ছেলের সাফল্যে গর্বিত। বলেন, বই পেলে ছেলে খাবারও খেতে চায় না।
এদিকে জয়েন্টের ফলাফল প্রকাশের পর রায়গঞ্জ শহরের কৃতী ছাত্রের নাম সংবাদ শিরোনামে আসতেই উচ্ছ্বসিত শহরবাসী। পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস এদিন হাজির হন ছাত্রের বাড়িতে। পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁকে সম্বর্ধনা জানান তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, রায়গঞ্জ শহরের মুখ উজ্জ্বল করল সৌরদীপ। আগামী দিনে এই মেধাবী ছাত্র সারা দেশের মধ্যে এই শহরের নাম উজ্জ্বল করবে।