সংবাদদাতা, বালুরঘাট: শুক্রবার টানা ছয় ঘণ্টা ম্যারাথন বৈঠক করেও নতুন জেলা কমিটি নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারল না তৃণমূল নেতৃত্ব। ফের শনিবার বৈঠকে বসবেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি। এদিন দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সার্কিট হাউসে বৈঠক হয়। নতুন জেলা কমিটিতে কাকে কাকে নেওয়া হবে, আর কাকে কাকে বাদ দেওয়া হবে তার সিদ্ধান্ত নিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় জেলা নেতৃত্বকে। জেলা সভাপতি বারবার দাবি করেন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন ব্যক্তিদেরই জেলা কমিটিতে নেওয়া হবে। তবে সূত্রের খবর, এদিন এমন কয়েকজন নেতার নাম কমিটিতে নেওয়ার জন্য বৈঠকে পেশ করা হয় যাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ভারসাম্যের জেলা কমিটি তৈরি করতে গিয়েও এদিন সময় লেগে যায়। অন্যদিকে, একাধিক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সহ সেই নামগুলি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের অনুমোদন পেলে তাঁদের বহিষ্কার করা হবে। তবে সেই তালিকায় কারা রয়েছেন, তা নিয়েও জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।  জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, নতুন জেলা কমিটি নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শনিবার আমরা ফের বৈঠকে বসব। তারপরে তালিকা রাজ্যে পাঠানো হবে। রাজ্যের অনুমোদন পেলে আমরা নতুন কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করে দেব। কমিটিতে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পুরসভার চেয়ারম্যানদের রাখা হচ্ছে। মনে হচ্ছে আগের বারের তুলনায় এবারের কমিটিতে বেশি সদস্য থাকবেন। কাকে বহিস্কার করা হবে আর কাকে দলে রাখা হবে, এই নিয়ে আমরা তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। রাজ্যের কাছে এব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হবে।  রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই কাজ করা হবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন নেতাকেই আমরা জেলা কমিটিতে রাখব। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান শংকর চক্রবর্তী, সভাপতি গৌতম দাস, কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি,ললিতা তিগ্না বিধায়ক তোরাব হোসেন মন্ডল, মন্ত্রী বাঁচ্চু হাসদা। এদিন বৈঠকে উপস্থিত সকলে নিজেদের অনুগামীদের নাম পেশ করে। এই নিয়ে সামন্য ঝামেলা তৈরি হয় বলে সূত্রে খবর। যদিও নতুন কমিটিতে কারা স্থান পেয়েছে এই নিয়ে কেও মুখ খুলতে চায় নি।বিপ্লব মিত্র সহ তার অনুগামীদের নতুন কমিটিতে রাখা হবে  কিনা তা নিয়ে এদিন আলোচনা চলে। যদিও এখনো চূড়ান্ত কোন সীদ্ধান্ত কেও নেন নি। তবে এদিন বৈঠকে জেলার  কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা চলে। সেই নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমান সহ সেই গুলি রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের যাতে দল থেকে বহিস্কার করা হয় সেই বিষয়ে দাবি করা হবে।   নিজস্ব চিত্র