নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বহুতল আবাসন বা কমপ্লেক্সে বসবাসকারী একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর প্রশাসন। হাউসিং সোসাইটিগুলির সাহায্য নিয়ে চালানো হবে সমীক্ষা। সেই সমীক্ষা হবে কীভাবে, তা নির্ধারণ করতে শুক্রবার কলকাতার সহ চার পুর-এলাকার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে আতান্তরে পড়েছেন শহরের একাকী বয়স্করা। তাঁদের জন্য বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন হাইরাইজ বিল্ডিং বা কমপ্লেক্সগুলিতে বয়স্ক মানুষের সঠিক খোঁজখবর রাখা এবং যে কোনও সমস্যায় তাঁরা যেন সরাসরি সাহায্য পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিষয়েই এদিনের বিশেষ বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম, হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, হাওড়া পুর-কমিশনার, কলকাতা পুর-কমিশনার বিনোদ কুমার ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক। পাশাপাশি, কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগর পুলিসের শীর্ষ কর্তারা।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর এবং নিউটাউন, এই চার শহরের বিভিন্ন বহুতল আবাসনে সমীক্ষা চালানো হবে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন হাউসিং সোসাইটিগুলির সহযোগিতায় সেই কাজ করবে সরকার। আবাসনে থাকা একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করবে এই হাউসিং সোসাইটিগুলি। কোন আবাসনে কত সংখ্যক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নাম সহ শারীরিক অবস্থার বিবরণ হাউসিং সোসাইটিগুলির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হবে। সেই বয়স্কদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারের বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বর। এই প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন এলাকায় পাড়ায় কিংবা বস্তি বা নিম্ন মধ্যবিত্ত অঞ্চলে সমীক্ষার কাজে সরকারের সুবিধা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুর-অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই ধরনের সমীক্ষা চলেছে। কিন্তু বহুতল আবাসন বা কমপ্লেক্সে ঢুকে সমীক্ষা করতে সমস্যা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হাউসিং সোসাইটির সাহায্য নেওয়া হবে। সব পুর-শহরের এই ব্যবস্থা লাগু হবে বলে জানিয়েছেন আলাপনবাবু। সেই কাজ যাতে সঠিকভাবে চালানো যায় সেই কারণে পুরসভার কল সেন্টার সহ সামগ্রিক পরিকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলার কাজ চলছে।