Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের
পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
শুভময় মৈত্র

সমাজ ব্যর্থ হলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার রাজনীতিই কাম্য
এখন বক্তব্য সব ইন্টারনেটে বা অন্তর্জালে। অমিত শাহ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলের সামনেই আজ ইলেক্ট্রনিক পর্দা। নেতা নেত্রীর বক্তব্য ভেসে যাচ্ছে ইন্টারনেটে। করোনা আবহে তাই মঞ্চঘেরা লাখো মানুষের গিজগিজে মাথা নেই। অন্যদিকে নেতা নেত্রীদের বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্রই টেলিভিশনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের টিকাটিপ্পনি। আগে মানুষ সমাবেশ থেকে ঘরে ফিরতেন অনেকটা সময় নিয়ে। ফেরার পথে দীর্ঘ রাজনৈতিক আলোচনা হতো। পাড়ায় পৌঁছে বিরোধী মতের মানুষের সঙ্গে তরজাও ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কোথাও কোথাও সভা সমাবেশে যাওয়া বা ফেরার সময় প্রাণঘাতী মারামারিও হয়েছে। তার ভালো-মন্দ বিচার করা সমাজবিজ্ঞানে অত্যন্ত কঠিন। মনে রাখতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অসাধারণ বক্তার দীর্ঘ বক্তব্যের যে রেশ থাকত আগে অনেকটা সময় ধরে, অতিমারী পরিস্থিতিতে তা চ্যালেঞ্জের মুখে। আমরা সকলেই জানি যে-কোনও বক্তব্যের পরেই অন্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা সেই বক্তব্য কাটতে শুরু করেন। খোলা মঞ্চে সমর্থকরা নেতানেত্রীর বক্তব্য শুনে আগে যতটা উজ্জীবিত হতেন, সেরকমটা ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে কি না তা এখন দেখার বিষয়। একই বক্তব্য বিজেপির ক্ষেত্রেও সত্যি। বিশেষত তাদের নেতা অমিত শাহের বেশ কয়েকটি অন্তর্জাল বক্তৃতা দিয়েই শুরু হয়েছিল রাজনীতির এই নতুন ধারা। এখানে প্রশ্ন, সমস্ত চ্যানেল তো এই বক্তব্য সম্প্রচার করছে। চলছে অনন্ত তরজা। তাহলে আবার অন্তর্জালের গল্প কেন? এর কারণ সংবাদমাধ্যমকে দেখাতে হচ্ছে যে তারা নিরপেক্ষ। কয়েকজন বড় নেতার বক্তব্য তারা হয়তো সরাসরি সম্প্রচার করতে পারে। কিন্তু তাদের প্রেক্ষিত হচ্ছে রাজনৈতিক সভা সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন, সেই সভার সম্প্রচার নয়। তাই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে নিজেদের প্রয়োজনেই অন্তর্জালে নেতানেত্রীদের বাণী প্রচারের বিষয়টি চালু রাখতেই হবে। সে কেউ শুনুন বা নাই শুনুন।
রাজনীতি তো চলবেই। কিন্তু সঙ্গে অন্য একটা বাস্তবতাকেও ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের দেশে মার্চ মাস থেকে যে কোভিড ইতিহাসের শুরু তা চতুর্থ পেরিয়ে পঞ্চম মাসে গড়াল। দেশনেতাদের কণ্ঠে এখনও শুধুই লড়াইয়ের স্লোগান, সমাধানের পথ নেই। যা বোঝা যাচ্ছে তাতে বিশবিশ সাল অতিমারীর আঘাতে জীবনকে দুর্বিষহ করে রাখবেই। মন শক্ত রেখে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদেরা। কিন্তু মন থাকলেও কাজ কোথায়? তার উপর এই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৈষম্য বাড়ছে অনেকটা। ঠিক কোথায় সেই বৈষম্য? দেশের ১০ শতাংশ মানুষের কোনও অসুবিধে নেই, তাঁরা সচ্ছল। এঁদের মধ্যে অনেকেই সরকারি চাকরি করেন। পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার চটজলদি মাইনে বন্ধ করবে না। বাকি বেসরকারি ক্ষেত্র এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ধরে আরও ১০ শতাংশ মানুষ হয়তো সুখে আছেন। কৃষিক্ষেত্রে বড় চাষিরা চিরকালই সচ্ছল। তবে যতই শতাংশ যোগ করুন না কেন, এ দেশের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ মোটামুটি ভালো আছেন এমনটা দেখাতে পারবেন, তার বেশি নয়। বাকি থাকল ১০৫ কোটি। এঁরা সকলেই মুশকিলে। কেউ কম, কেউ বেশি। রাজ্যবিশেষে চাল, ডাল, আটা পৌঁছচ্ছে এঁদের কাছে। তবে সব জায়গায় নয়। এটাই মাটি থেকে উঠে আসা ছবি। তবে মাটির কিছুটা উপরে সিমেন্টে গাঁথা যে সমাজটা সেখানেও কিন্তু অবস্থা বদলাচ্ছে। প্রান্তিক মানুষ ছাড়াও মধ্যবিত্তের গায়ে লাগতে শুরু করেছে কোভিডের আঁচ। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কারণ কোভিড পরিস্থিতির আগেই দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি নেমে দাঁড়িয়েছিল গত ১১ বছরের মধ্যে তলানিতে। সেটা মার্চ মাসের হিসেব। তার পরে নতুন আর্থিক বর্ষের তিন মাস কেটে গিয়েছে। সে ফল এরমধ্যে যখন বেরতে শুরু করবে তখন আঁতকে ওঠা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।
টুকরো উদাহরণ দিয়ে রাজনীতি বা সমাজনীতির ধারা পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। তবে এক একটা ছোটখাটো ঘটনা অনেক বড় প্রেক্ষিতকে সামনে আনে। একেবারে ঘটমান বর্তমানের একটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা পেশ করা যাক। বাড়ি বাড়িতে খবরের কাগজ বিলি করেন স্নাতকস্তরের এক ছাত্র। এই কাগজটিও পৌঁছেছে তাঁর মতোই কারও হাত ছুঁয়ে। সেই যুবককে অনেকটা রাত জেগে পড়াশোনা করে এখন আর শুতে যেতে হচ্ছে না। কারণ সময় হয়ে যাচ্ছে রাজপথের ধারে ডাঁই করা কাগজের ভাগ সাইকেলে গোছানোর। যে যুবকটির কথা বলছি, তিনি দু’বছর আগে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে নামী কলেজে পড়ছেন। যাঁর বাড়িতে কাগজ দেন, তিনি ৩০ বছর আগে ওই একই নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দশে ছিলেন। এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক। আর কাজ খুঁজছেন যুবকটি। কারণ তাঁর বাবার কাজ চলে গিয়েছে। অর্থাৎ চাকরিপ্রার্থী ছাত্রের সামনে অসহায় অধ্যাপক। কাগজের দাম দেওয়ার নাম করে যুবকের হাতে ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেন সংবেদনশীল প্রৌঢ় মাস্টার মশায়। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, কিন্তু অলীক। আসলে আরও বেশি বেশি মানুষ মধ্যবিত্তের গণ্ডি ছাড়িয়ে পা দিচ্ছেন নিম্নবিত্তের আঙিনায়। বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি টলমল করছে। শিক্ষার জায়গাটাও একেবারে গোলমেলে। প্রচুর নম্বর উঠছে। তার মানে এমন নয় সরকার অযাচিতভাবে গাদা গাদা নম্বর দিচ্ছে পড়ুয়াদের। আজকের দিনে বহু ছাত্রছাত্রী পড়াশোনায় ভালো। সেই কারণেই তাঁরা দারুণ ফল করছেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, পড়াশোনা শেষে চাকরি, সব জায়গাগুলোই জট পাকিয়ে গিয়েছে। সেই গিঁট খুলতে হবে সরকারকেই।
আর এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মৃত্যুর অসহায়তা। কোভিডের চিকিৎসায় অনেক নতুন বিষয় জানতে পারছেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর হার আমাদের দেশে ২ বা ৩ শতাংশের মতো। অর্থাৎ সবাই যে পট করে মরে যাব এমনটা নয়। কিন্তু ভয়ের পরিস্থিতি মানুষকে এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে যে সমাজ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে রোগীর দিক থেকে। এটা এখন একেবারেই পরিষ্কার যে কোভিড হলে পাড়া প্রতিবেশীর সাহায্যও পাওয়া মুশকিল। এই জায়গাটা বদলাতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেমন অনেক সময় রাত-পাহারার দল থাকে, তেমনই যুবক যুবতীদের পথে নামাই আশু সমাধান। পরিসংখ্যান পরিষ্কার বলছে যে ১৮-২০-র সুস্থ ছেলেমেয়েদের কোভিড আক্রান্ত হয়ে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম, একেবারে শূন্যের কাছাকাছি। বাবা মায়ের আঁচল ছেড়ে তাঁরা যদি সাহস করে পথে নামতে পারেন, তাহলেই এই অমানবিকতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা আছে। টেলিভিশন চ্যানেল কিংবা সংবাদমাধ্যমে বয়স্ক খ্যাতনামা মানুষের বাক্যবাণী অসুস্থের পরিষেবায় কোনও কাজে আসবে না। মনে রাখতে হবে, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ক্লাবকে টাকা দিয়েছিলেন এক সময়। আজকেও সেই পদ্ধতিতেই বাংলার কয়েক হাজার ক্লাবকে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন তিনি।
এই ধরনের কাজ এর মধ্যেই শুরু করেছে কিছু বামপন্থী দল। অতিমারী পরিস্থিতিতে তাদেরকে এই পরিকল্পনায় শামিল হতে ডাকলে রাজ্যেরই লাভ। কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কিছু যুবককে নিয়ে একটি প্রকল্প রাজ্য সরকার শুরু করেছেন। কিন্তু এখনও তা অপ্রতুল। প্রশ্ন হল, সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপি নেতাদের মধ্যে যে তরজা চলছে, সেই সময়টুকু একটু অন্যভাবে ব্যবহার করলে ক্ষতি কী? মানুষ বড্ড ভয় পাচ্ছে, মানুষ এক্কেবারে নিঃসহায়। কিন্তু অবস্থাটা এতটা খারাপ হওয়ার কথা নয়। নিম্নবিত্তের মধ্যে খাদ্যশস্য পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল রাজ্য সরকার। অন্যদিকে চিকিৎসা এবং সেই সংক্রান্ত পরিষেবার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর অজস্র। কোভিডাক্রান্ত ফুসফুসে সাহস জোগাতে সরকারের সহযোগিতায় দলমত নির্বিশেষে আরও কিছুটা উদ্যোগ জরুরি। দ্রুততার সঙ্গে সে কাজ না-হলে আম জনতা বিপদে পড়বে। সমাজ ব্যর্থ হলে, অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে না-পেরে অসুস্থের মৃত্যু রুখতে হবে নিঃসহায়ের রাজনীতিকেই।
লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
05th  August, 2020
দল বদলের জেরে কুশীলবরাই হয়ে যান পুতুল
তন্ময় মল্লিক

রাজনীতিতে দল বদল খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে, যাঁরা দল বদলান, তাঁরা ‘ঘরের ছেলে’র মর্যাদা হারান। গায়ে লেগে যায় ‘সুবিধাবাদী’ তকমা। পরিস্থিতি বলছে, তাতে রাজনীতির কুশীলবরা‌ই হয়ে যান হাতের পুতুল। বিশদ

রামমন্দিরের পর হিন্দুত্ববাদী
রাজনীতি কোন পথে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই উচ্চারণ করেছেন একাধিকবার ‘জয় সিয়ারাম’ ধ্বনি? উগ্র হিন্দুত্ব থেকে এবার কি অন্য নতুন এক সমন্বয়ের হিন্দুত্বে ফিরতে চান তিনি? সনাতন ভারতবর্ষ আশা করবে, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে তিনি আগামীদিনে চালিত করবেন সহিষ্ণুতা, বহুত্ববাদ আর ঐক্যের পথে।
বিশদ

07th  August, 2020
ক্রীড়া ও বিনোদন অর্থনীতি:
কী ভাবছে সরকার?
হারাধন চৌধুরী

 ১০০ বছর ধরে মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, সেই লাল-হলুদ ঝড়ের নাম ইস্টবেঙ্গল। এই স্লোগানের সঙ্গে বাঙালি বহু পরিচিত। গত ১ আগস্ট, ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ পূর্ণ হল। যে-কোনও ক্ষেত্রে সেঞ্চুরির গরিমা কতটা সবাই জানেন। ক্রীড়ামোদী বাঙালি মূলত দুই শিবিরে বিভক্ত—ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান।
বিশদ

06th  August, 2020
সবুজ হচ্ছে জঙ্গলমহলের প্রকৃতি ও মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

জঙ্গলমহল হাসছে। এই কথাটা একসময় বহু ব্যবহৃত শব্দবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটা নিয়ে বিরোধীদের বিদ্রুপ করা শুরু হল। কিন্তু এটা ঠিক, ২০১১ সালের আগে যে জঙ্গলমহলের চোখে জল ছিল, তা আর ফিরে আসেনি।
বিশদ

05th  August, 2020
নয়া নীতিতে শিক্ষা
আমাদের ‘বাহন’ হবে তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

নরেন্দ্র মোদি সরকার নয়া শিক্ষানীতি ঘোষণা করার পর দিকে দিকে কেমন একটা হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। বিষয়ে নতুনত্ব আছে। আর তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সরকারি স্কুলে প্লে-গ্রুপ ও কিন্ডারগার্টেন, ১০+২ এর ধারণা পিছনে ফেলে ফুটবলের মতো ৫+৩+৩+৪ ছকে স্কুলশিক্ষাকে সাজানো এবং সায়েন্স, আর্টস, কমার্স উঠে যাওয়া... নড়েচড়ে বসার মতো পরিস্থিতি বটে।
বিশদ

04th  August, 2020
রাজ্য-রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র
সোমেন মিত্রের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত 
প্রবীর ঘোষাল

২০০০ সালের মার্চ মাস। রাজ্য কংগ্রেস রাজনীতিতে ঘোর সঙ্কট। দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করে ঝড় তুলে দিয়েছেন। দু’-দু’টি লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুলের সাফল্য গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই সময় এল পশ্চিমঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন।  
বিশদ

03rd  August, 2020
করুণ কাহিনীতে কোনও ‘সমাপ্ত’ হয় না 
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। তারপর থেকে লিখিত আদেশ ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক ব্যক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ করা হয়েছে। এরকমই একজন গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতা বলেন যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর একটা বিরাট বন্দিশালা’। 
বিশদ

03rd  August, 2020
৫ আগস্ট ও নরেন্দ্র
মোদির ভোট অঙ্ক
হিমাংশু সিংহ 

২৯ বছর আগে ছবিটা তুলেছিলেন মহেন্দ্র ত্রিপাঠি। করোনা আবহে সেই ছবিই গোটা দেশে আজ হঠাৎ ভাইরাল। মহেন্দ্র পেশায় শখের ফটোগ্রাফার। ছোট্ট একটা স্টুডিও আছে অযোধ্যার প্রস্তাবিত রামমন্দির চত্বরের কাছেই।   বিশদ

02nd  August, 2020
ভাবনা বদলালেই সহজ
হবে করোনা মোকাবিলা
তন্ময় মল্লিক 

‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে-পশ্চিমে।’—রবীন্দ্রনাথ। ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব, বিপ্লব আনে মুক্তি।’—লেনিন।   বিশদ

01st  August, 2020
বন্ধু চীনই এখন
আমেরিকার বড় শত্রু
মৃণালকান্তি দাস 

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ মাত্র চার বছরে উল্টে গিয়েছে! এই সেদিনও চীন-আমেরিকা নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেজিং সফরে গিয়ে ধুরন্ধর মার্কিন বিদেশসচিব হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন।   বিশদ

31st  July, 2020
মমতাকে স্বস্তি দিচ্ছে
বিজেপির এই রাজনীতি
হারাধন চৌধুরী 

যদি ক্যুইজে প্রশ্ন করা হয়, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে? প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নাম ক’জনের মাথায় আসবে সংশয় রয়েছে। বেশিরভাগ উত্তরদাতার ঠোঁটের ডগায় তৈরি থাকবে বিধানচন্দ্র রায়ের নামটা।   বিশদ

30th  July, 2020
মোদিজি, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন
সন্দীপন বিশ্বাস 

কতটা লড়াইয়ের পর করোনার মতো এমন ভয়ঙ্কর ভাইরাসকে নিঃশেষ করা যাবে, আমরা জানি না। কতদিনে আমরা এর ওষুধ বের করতে পারব, তাও জানি না! কোভিড ওষুধ নিয়ে আমাদের দেশের ও বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা এখন ঠিক কোন পর্যায়ে, সেটাও আমরা জানি না।   বিশদ

29th  July, 2020
একনজরে
  বোর্ডের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) হাতে পাওয়ার পরেই ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল আইপিএলের দলগুলি। ...

কাছারি বাজারের কাপড়পট্টিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় মোট ৭ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন ব্যবসায়ীরা। ...

 করোনার আগ্রাসন এখন নবান্নের মূল প্রবেশদ্বার থেকে ১৪তলা পর্যন্ত। একের পর এক আধিকারিক, পুলিস অফিসার, হাউসকিপিং স্টাফ এবং গাড়ির চালক ঘায়েল হচ্ছেন এই ভাইরাসের ছোবলে। ...

 অযোধ্যায় রামমন্দিরের জায়গায় যদি মসজিদ নির্মাণ করা হতো, তাহলে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যেতাম না। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম
১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম
১৯৭৫: গীতিকার ও কবি প্রণব রায়ের মৃত্যু
১৯৭৭: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক আচার্য ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১- সুইস টেনিস খেলোয়ান রজার ফেডরারের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৬ টাকা ৭৬.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৫.৮৩ টাকা ১০০.৯৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৪৮ টাকা ৯১.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৬,৯৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৪,০৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৪,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৫,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৫,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী ৫৭/৪১ রাত্রি ৪/১৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র ২৭/২৩ অপঃ ৪/১২। সূর্যোদয় ৫/১৪/৩৫, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৪৫। বারবেলা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ১/১৯ গতে ২/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৫১ গতে উদয়াবধি।।
২৩ শ্রাবণ ১৪২৭, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০, পঞ্চমী রাত্রি ২/৩২। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র দিবা ৩/৪৯। সূর্যোদয় ৫/১৪, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/২০ গতে ১০/৩৪ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৪৬। কালবেলা ৬/৫১ মধ্যে ও ১/২০ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৫ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/১৪ মধ্যে।
১৭ জেলহজ্জ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের দিনটি কেমন যাবে 
মেষ: ব্যবসায় উন্নতি হবে। বৃষ: কাজে বিশেষ সাফল্য। মিথুন: কর্মে একাধিক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯১৫- লেখক ভীষ্ম সাহানির জন্ম১৯৪০- ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাইয়ের জন্ম১৯৭৫: গীতিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল
রাজ্যে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল। এ পর্যন্ত মোট ২০০৫ ...বিশদ

09:06:41 PM

কাজিরাঙ্গায় শিকারির গুলিতে মৃত গণ্ডার 
অসমের কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে আজ সকালে একটি মৃত গণ্ডার উদ্ধার করা ...বিশদ

04:35:00 PM

গুজরাতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন 
 গুজরাতের একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগল। আজ শনিবার ঘটনাটি ...বিশদ

03:59:00 PM

কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রী হাসপাতাল থেকে মুক্ত 
কেরলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ২৩ জন যাত্রীকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে ...বিশদ

03:45:00 PM