উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিন্দোলে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে দুই কিমি দূরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। বিধায়কের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিস। তাতে নিলয় সিংহ ও মাবুদ আলির নাম ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। নিলয়ের বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজারে। মাবুদের বাড়ি চাঁচলের ইমানপুরে। বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায় ওই দু’জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস খুনের মামলা রুজু করে। ঘটনার একদিন পর নিলয়কে ইংলিশবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। আর ঘটনার ২৪ দিন পর গ্রেপ্তার হল মাবুদ।
সিআইডি সূত্রের খবর, বিধায়কের রায়গঞ্জের বাড়িতে ভাড়া ছিল নিলয়। তার মারফৎ মাবুদের আলাপ হয় বিধায়কের সঙ্গে। তিনজনে মিলে একটি রাইস মিল গড়ার পরিকল্পনা নেন। এরজন্য বিধায়ক, নিলয় ও মাবুদকে দুই কোটি টাকা দেন। কিন্তু, মিল হয়নি। অভিযোগ, টাকাও ফেরত দিচ্ছিল না অভিযুক্তরা। বিধায়কের ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। এরই মাঝে বিধায়কের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরই মাবুদ গা ঢাকা দেয়। মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল না। তবে মোথাবাড়িতে মাবুদের আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার খবর পায় সিআইডি। বৃহস্পতিবার হানা দিয়ে সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রের খবর, চাঁচলে ইমানপুরে বাড়ি মাবুদের। গত কয়েক বছর ধরে মাবুদ বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিল। পেল্লাই পাকাবাড়ি। সম্প্রতি সে একটি দামি গাড়ি কেনে। মাবুদের বিরুদ্ধে এর আগেও অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ধৃত মাবুদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সিআইডি জেরা করতে চায়। স্বামীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধায়কের স্ত্রী। বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, রাজ্য পুলিস সমস্ত তথ্য গোপন করছে। খুনের ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। সিবিআই তদন্ত হলে প্রকৃত তথ্য সামনে আসবে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, সুইসাইড নোটে যে দু’জনের নাম ছিল, তারা গ্রেপ্তার হল। রাজ্য পুলিস সঠিকভাবেই তদন্ত করছে। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে।