উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
এরকম একটা জটিল অবস্থায় মাঝেমধ্যেই রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রেখে করতে হচ্ছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ। কখনও তা একদিন আবার কখনও টানা দু’দিন ধরে চলছে স্যানিটাইজেশন। এরকম একটা আবর্তে করোনা যুদ্ধের রণকৌশল নির্ধারণ এবং দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্য নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের অ্যানেক্স ভবন ‘উপান্ন’তে সাময়িকভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর চালু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গত ২২ জুলাই তিনতলার এই নতুন ভবনটির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, মুখ্যসচিব ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের (সিএমও) কয়েকজন আধিকারিকের দপ্তর থাকবে এখানে। সূত্রের খবর, পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে উপান্ন ভবন থেকেই দৈনন্দিনের কাজকর্ম সারতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর আধিকারিক টিমের উপযোগী করে দপ্তর বানানোর কাজ চলছে উপান্নে।
পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকজন আধিকারিকের দপ্তর ছাড়া উপান্নকে মূলত অতিথিশালা হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়েছিল। এখন তা অফিসে রূপান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি আগস্ট মাসের শেষে অথবা সেপ্টেম্বরের গোড়ায় উপান্ন থেকে দপ্তরের কাজ শুরু করতে পারেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি উইংয়ের আধিকারিকরা উপান্ন পরিদর্শন করেছেন। সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আধিকারিকদের যে টিম এই বিপর্যয় পর্বে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, করোনা আবহে তাঁরা ভিন্ন আরও কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না এই ভবনে। সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়াতেই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে গত ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর কাজ শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভবন থেকেই গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চালিয়ে ফের প্রশাসনিক প্রধানের গতিতে আসীন হন মমতা। পূর্তদপ্তর সূত্রে খবর, এরপরই অপরিসর নবান্ন ভবন সংলগ্ন অংশে একটি অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেই অ্যানেক্স বিল্ডিং উপান্নই এখন মুখ্যমন্ত্রীর সাময়িক দপ্তর হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।