বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলায় নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। সেইসঙ্গে কোভিড হাসপাতাল, সেফ হোম, হোম আইসোলেশনে যেসমস্ত রোগী আছেন তাঁরা চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাই করোনার কারণে অযথা ভীত না হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রভৃতির দিকে অধিক নজর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ সমস্ত বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছে। কোচবিহারের ডেপুটি সিএমওএইচ-১ বিশ্বজিৎ রায় বলেন, জেলায় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের একাংশকে হোম আইসোশেনে রাখা যাচ্ছে। কারণ তাঁদের উপসর্গ নেই ও বাড়িতে আলাদা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। একটি অংশকে সেফ হোমে রাখা হচ্ছে। এঁদেরও উপসর্গ নেই। কিন্তু বাড়িতে আলাদা থাকার সমস্যা রয়েছে বা বাড়িতে বয়স্ক মানুষ আছেন। যাঁরা কোভিড হাসপাতালে আছেন তাঁদের চিকিৎসা চলছে। কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের একাংশও উপসর্গহীন হয়ে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে আমরা বিরাট অংশের রোগীকে ভালো করে তুলতে পারছি। লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা চাই সকলেই সবনিয়ম মেনে চলুন। আশা করা যাচ্ছে, আগস্টের পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করবে।
কোচবিহার জেলায় গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ১৩৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারমধ্যে ২৫ হাজার ৯৪৫টি রিপোর্ট এসেছে। তিনজন ভিনরাজ্যের পজিটিভ ছিলেন। এই বিপুল সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করার পর ওই দিন পর্যন্ত কিন্তু জেলায় মাত্র ৯২৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এঁদেরই প্রশাসন প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। ওই ৯২৪ জন আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৯৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ২২৭ জন আক্টিভ রয়েছেন। জেলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর রয়েছে।
কয়েক দিন ধরে কোচবিহারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরফলে কিছুটা হলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বর্তামনে জেলাজুড়ে লকডাউন চলছে। ৫ ও ৮ আগস্ট রাজ্যের ঘোষিত লকডাউন রয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন ৬ ও ৭ আগস্ট লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে দোকান, বাজার সবই বন্ধ থাকছে।
চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, এবারের এই লকডাউনটি কঠোরভাবে পালন করলে তার প্রভাব ভালো হবে। করোনার কারণে সামাজিক বয়কট বা অন্য কোনও ভয়ে উপসর্গ চেপে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রশাসনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে অভিজ্ঞ মহল।