একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমার চারটি ব্লকের ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে মহকুমায় রাস্তা, ড্রেন, নদী বাঁধ তৈরি, সহভাগী প্রক্রিয়ায় গৃহনির্মাণ, ফুল ও ফলের বাগান তৈরি প্রভৃতি কাজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির মান যাচাই করা নিয়ে এবারও এখনও সোশ্যাল অডিট শুরু হয়নি। গত মার্চ মাসের শেষদিকে ‘গুপ্ত ভাইরাস’ করোনার মোকাবিলা করতে দেশজুড়ে লকডাউন লাগু করা হয়। ওই সময় থেকেই এই মহকুমায় সোশ্যাল অডিটের কাজ থমকে রয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত ভিআরপিরা এবার করোনা ও ডেঙ্গু দমনে গ্রামবাসীদের সচেতনতার কাজ করছেন।
মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সোশ্যাল অডিটের জন্য ভিআরপিদের গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়, উপভোক্তাদের বাড়িতে, প্রকল্পস্থল পরিদর্শন করতে হবে। লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট কাজগুলি ভিআরপিদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া, উপভোক্তাদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে গ্রামসভা করা এই কর্মসূচির অন্যতম অঙ্গ। তা করতে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। তাই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নিয়ে সামাজিক অডিট আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এরবাইরে শিলিগুড়িতে সোশ্যাল অডিট কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে লোকবলেরও অভাব রয়েছে যথেষ্ট। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই মহকুমায় সোশ্যাল অডিট রিসোর্স পার্সনের পদ দু’টি। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলি ফাঁকা। ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভিআরপির পদ ২২০টি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ৩৪টি পদ শূন্য। বর্তমানে ভিআরপির সংখ্যা ১৮৬ জন। মহকুমা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সোশ্যাল অডিট বন্ধ থাকায় ভিআরপিদের ভেক্টরবর্ন ডিজিস এবং করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে নিয়োগ করা হয়েছে ভিআরপিদের।
শুধু শিলিগুড়ি নয়, কোচবিহার ও মালদহ সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের অবস্থাও একই। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কাজ চাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে উপভোক্তা তা পেয়েছেন কি না, গ্রামবাসীদের কাজ চাওয়ার হার কীরকম, প্রকল্পের মাস্টার রোল, মেজারমেন্ট বুক, এস্টিমেট, গ্রামসভার রেজুলেশন, কমপ্লিকেশন সার্টিফিকেট প্রভৃতি খতিয়ে দেখে সামাজিক নিরীক্ষণ দল। তাছাড়া উপভোক্তাদের অভিযোগ নথিভূক্ত করা, গ্রামসভা ডেকে অভিযোগ নিয়ে যাচাই করা, শুনানি নেওয়া প্রভৃতি কাজও করতে হয়।
মালদহ জেলার সোশ্যাল অডিট রিসোর্স পার্সন মধুসূদন সিংহ বলেন, করোনার আক্রমণের জেরে এবার সোশ্যাল অডিট শুরু করা যায়নি। তাছাড়া রাজ্য সরকারও এই কাজ করার জন্য ক্যালেন্ডার এখনও প্রকাশ করেনি। এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই কর্মসূচি কিছুটা অন্য রকমভাবে করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে।