বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এদিকে, আগামীতে মন্দিরে ভক্তদের প্রবেশের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বেশকিছু বিধি পালন করা হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নির্দিষ্ট সংখ্যক ভক্তকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া, মন্দিরের বারান্দায় কোনও ভক্তকে উঠতে না দেওয়া, জুতো খুলে মন্দিরে প্রবেশ করা, লোক জমায়েত হতে না দেওয়া প্রভৃতি নিয়ম আরোপ করা হবে। এদিকে, কোচবিহার রাজবাড়িও সোমবার খুলেছে। তবে এদিন রাজবাড়িতে তেমন মানুষের সমাগম হয়নি।
মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মীরা ২৫ হাজার টাকার চেক জেলাশাসকের হাতে তুলে দিয়েছেন। মদন মোহন মন্দির খোলার বিষয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। মন্দিরের রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার মন্দিরের প্রবেশ দ্বার খোলার বিষয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রেখেছি। প্রশাসন বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছে।
কোচবিহার রাজবাড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিওলজিস্ট চুনচুন কুমার বলেন, এদিন রাজবাড়ি পর্যটকদের জন্য খোলা হয়েছে। এদিন মাত্র ৩১টি ই-টিকিট বিক্রি হয়েছে। ফলে তেমন ভিড় ছিল না।
কোভিড পরিস্থিতির শুরু হতেই কোচবিহারের মদন মোহন মন্দির সহ দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের মন্দিরগুলিতে ভক্তদের প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ফলে মন্দিরের ভিতরে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে মদন মোহন দেবের নৌকাবিহার উৎসব এবার সাগরদিঘিতে হয়নি। মন্দিরের অন্দরেই তা পালন করা হয়েছিল। এরপর রথযাত্রাতেও নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। রথের পরিবর্তে সুসজ্জিত গাড়িতে মদন মোহনকে মাসির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কোনও উৎসব পালন করা হয়নি। সমস্ত ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এবার মদন মোহন মন্দিরের প্রবেশ দ্বার খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ দ্বার খুললেও আপাতত বেশকিছু নিয়মকানুন মেনেই ভক্তদের প্রবেশ করতে হবে বলে মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে। এক্ষেত্রে এক সঙ্গে মাত্র ১৫ জন ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় স্যানিটাইজারে ভেজানো টোকেন রাখা, মন্দির চত্বরে স্টিকার লাগিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মূল মন্দিরের বারান্দায় কোনও ভক্তকে উঠতে না দিয়ে বারান্দায় রাখা থালাতেই ভোগ নিবেদন সহ একাধিক বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।