বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মহদিপুর ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস’ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভূপতি মণ্ডল বলেন, এই মুহূর্তেই মহদিপুর দিয়ে পাথরকুঁচি রপ্তানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। ফলে প্রতিদিন বেশ কিছুটা রপ্তানি কম হবে। বাংলাদেশের সোনা মসজিদ আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও এই মুহূর্তে পাথরকুঁচি আমদানি করা সম্ভব না বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রপ্তানি চালু করার ক্ষেত্রে যে শর্তাবলী দেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল সীমান্ত পার করে মাত্র ২০০ মিটার পর্যন্ত যেতে পারবে লরিগুলি। বাংলাদেশের সোনা মসজিদ পানামা পোর্ট ২০০ মিটারের মধ্যেই হওয়ায় সে ক্ষেত্রে সাধারণ রপ্তানিকারকদের কোনও সমস্যা হবে না। তবে পাথরকুঁচি বহন করা লরিগুলিকে বাংলাদেশের ভিতরে প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত যেতে হয়। বর্তমান নিয়মের কারণে তা সম্ভব নয়। ফলে পাথরকুচি রপ্তানি আপাতত হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
রপ্তানিকারক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাথরকুচি বোঝাই লরি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসা হয়ে থাকে। ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টরা জানিয়েছেন, মহদিপুর দিয়ে যত লরি প্রতিদিন বাংলাদেশে যায় তার প্রায় ৫০ শতাংশই পাথরকুঁচি পরিবহণ করে। এই পাথরকুচি মূলত আসে ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে। এই ক্ষেত্রে দু’বার লরি পরিবর্তনেরও দরকার পড়ে। প্রয়োজন হয় অধিক সংখ্যক শ্রমিকেরও। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি নিয়ে খুব দ্রুত অনুমতি মেলা সম্ভব নয় বলেই জানা গিয়েছে। একই কথা স্পষ্ট বাংলাদেশের আমদানিকারক সংগঠনের অন্যতম কর্তা তৌফিকুর রহমানের পাঠানো চিঠিতে। বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের প্রশাসনও পাথরকুঁচি আমদানি চালু করতে এই মুহূর্তেই উৎসাহী নয় বলেই ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ জুন থেকে মালদহের মহদিপুর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ফের শুরু হয়। ৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই বাণিজ্য করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে স্থগিত ছিল। সাধারণ সময়ে এই স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে সোয়া ৩০০টি লরি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যায়। কিন্তু বাণিজ্য ফের চালু হওয়ার পরে প্রথমদিন গিয়েছে মাত্র ৮৬টি গাড়ি। তাতে ছিল ভুট্টা, পেঁয়াজ, আদা, ফল ও অন্যান্য পচনশীল সামগ্রী। শুক্রবার অবশ্য নিয়ম মেনে আন্তর্জাতিক রপ্তানি বন্ধই ছিল। তবে আজ, শনিবার ১০০টিরও বেশি লরি বাংলাদেশে পচনশীল সামগ্রী সরবরাহ করতে যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে।