বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুনিয়াদপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন বলেন, আমাদের ১৪টি ওয়ার্ড পুরোপুরিভাবে শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়নি। যে কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে শহরের ফিডারে বিদ্যুৎ থাকলেও গ্রামীণ এলাকা থেকে আসা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। এতে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কোথাও সমস্যার কথা জানতে পারলে বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানিকে দিয়ে তা সমাধান করার চেষ্টা করি। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছি। যেসব ওয়ার্ডে বেশি বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে, সেখানে টাউন ফিডার থেকে পরিষেবা দেওয়া হোক। বণ্টন কোম্পানি বুনিয়াদপুর শহরে দু’টি টাউন ফিডারের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছে। লকডাউনের জন্য বিদ্যুতের কাজ থমকে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এই কাজ হবে।
২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নীহার সরকার বলেন, আমরা শহরে থাকছি, পুরসভাকে ট্যাক্স দিচ্ছি। তারপরও আমাদের বিদ্যুৎ পরিষেবা বেহাল হয়ে রয়েছে। সামান্য ঝড়বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এছাড়া দিনের মধ্যে একাধিকবার লোডশেডিং হয়। বণ্টন কোম্পানির উচিত এই সমস্যার সমাধান করা। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাপিয়া রায় বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে শিশুদের পড়াশুনা করতে অসুবিধা হয়। রাতের দিকে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরা শহরে থেকেও শহরের মতো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। রাতে লোডশেডিংয়ের মধ্যে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করি।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির বুনিয়াদপুর ডিভিশনের ম্যানেজার অসিত মল্লিক বলেন, গ্রামীণ এলাকা থেকে বুনিয়াদপুর শহরে উন্নীত হয়েছে। আমরা শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করেছি। ধাপে ধাপে ১৪টি ওয়ার্ডে আমরা শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেব। আমাদের কাজও চলছিল। লকডাউনের জন্য কাজ থমকে গিয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দু’টি ফিডার করে ওয়ার্ডগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হবে। এবিষয়ে আমার সঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যানের কথা হয়েই আছে। যেসব এলাকায় বেশি সমস্যা রয়েছে, সেখানে আমরা আগে কাজ করব।